কাবিননামার ৫ অনুচ্ছেদ কেন বেআইনি নয়
কাবিননামার ফরমের (বাংলাদেশ ফরম নং-১৬০০ এবং ১৬০১) ৫ নম্বর অনুচ্ছেদ কেন বৈষম্যমূলক ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল রোববার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এ রুল দেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রিন্টিং এবং প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
কাবিননামার ওই অনুচ্ছেদে কনের বৈবাহিক মর্যাদা বিষয়ে উল্লেখ করে বলা হয়, ‘কনে কুমারী বা বিধবা বা তালাকপ্রাপ্তা কিনা’। এই অনুচ্ছেদ বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট, নারীপক্ষ এবং বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ গত রোববার রিটটি করে। শুনানি নিয়ে গতকাল আদালত রুল দেন।
একই সঙ্গে কেন ‘কুমারী’ শব্দটি বিলোপ করে কাবিননামা সংশোধন করা হবে না এবং বরের বৈবাহিক অবস্থা-সম্পর্কিত কোনো অনুচ্ছেদ কবিননামায় উল্লেখ করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিবাহের রেজিস্ট্রেশনের সময় উভয় পক্ষের ছবি কাবিননামায় কেন সংযুক্ত করা হবে না, সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আইনুন নাহার সিদ্দীকা। তাঁকে সহায়তা করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও আকমল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
আইনজীবী আইনুন নাহার সিদ্দীকা প্রথম আলোকে বলেন, কাবিননামায় শুধু কনের বৈবাহিক অবস্থা ও তথ্য সন্নিবেশিত করার জন্য অনুচ্ছেদ রয়েছে। তবে বরের বৈবাহিক অবস্থা-সম্পর্কিত কোনো অনুচ্ছেদ নেই। এটা নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক। সংবিধান বলেছে, কারও প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা যাবে না। ওই অনুচ্ছেদটি সংবিধানের ২৭, ২৮, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদ পরিপন্থী। তাই রিটটি করা হয়।
Source:http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/320164/