৫জির চালু করতে গেলে শক্তির বিশাল চাহিদা দাঁড়াবে। ট্রেড গ্রুপ ‘৪জি আমেরিকাসে’র প্রেসিডেন্ট ক্রিস পেয়ারসন বলেন, ‘২০২০ সাল নাগাদ ইন্টারনেট সংযোগ সুবিধাযুক্ত পণ্য দাঁড়াবে পাঁচ হাজার কোটিরও বেশি। ওই পণ্যগুলো মোবাইল নেটওয়ার্কের সাহাঘ্যে ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় আসবে।’
৩জি ও ৪জির ব্যবহারের সময় যেভাবে ডেটা ব্যবহার বেড়েছে ভবিষ্যতে কোন কোন ধরনের পণ্য বাজারে আসবে এবং তা ডেটা ব্যবহার বাড়াবে এখনকার ওয়্যারলেস শিল্পের কর্ণধারেরা সেই বিষয়গুলোই খুঁজে বের করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাদের মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্র থেকে ইন্টারনেটের যে সংযোগ নেওয়া হবে তার ব্যবস্থাপনা করা, দ্রুত সংযোগ সুবিধার জন্য জরুরি সেবা যন্ত্রগুলো নির্ধারণ করা কিংবা ব্যান্ডউইথ খেকো কম প্রয়োজনীয় বিনোদন সেবাগুলোর জন্য নেটওয়ার্ক সরবরাহ করা।
৫জি নিয়ে কাজ করছে নকিয়া, হুয়াউয়ে
ফিনল্যান্ডের টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নকিয়া ও জাপানের এনটিটি ডকোমো যৌথভাবে পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি (৫জি) নিয়ে গবেষণা করছে। এ বছরের মে মাসে এ তথ্য জানিয়েছে নকিয়া।
নকিয়ার নেটওয়ার্ক বিভাগ জানিয়েছে, নকিয়া ও এনটিটি ডকোমো মিলে যৌথভাবে ৫জি প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি ৫জি প্রুফ অফ কনসেপ্ট (পিওসি) নিয়ে কাজ করবে।
নকিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মোবাইল নেটওয়ার্কে চূড়ান্ত দক্ষতা ও পারফর্মেন্সের চাহিদা থাকায় ভবিষ্যতে ৫জি প্রযুক্তিকে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে এবং মোবাইল অপারেটরদের কাছে তা সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধা হিসেবে প্রতি সেকেন্ডে ১০০ মেগাবিট গতিতে ‘কল-এজ’ রেটের নিশ্চয়তা দিতে হবে।
নকিয়া জানিয়েছে, ভবিষ্যতের তারবিহীন নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি শুধু মানুষের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রেই নয়, যন্ত্রের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হবে।
ভবিষ্যতে তাই রেডিও অ্যাকসেস সিস্টেম নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান দুটির প্রাথমিক লক্ষ্য হবে ৭০ গিগাহার্টজ স্পেকট্রাম ব্যান্ডে মিলিমিটার ওয়েভ টেকনোলজির সক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখা।
এ বছরের জুলাই মাসে ৫জি নিয়ে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে হুয়াউয়ে। ইউরোপের ৫জি অবকাঠামো বোর্ডেও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
৫জির গবেষণা
২০১২ সালের যুক্তরাজ্যের গবেষকেরা ৫জি নিয়ে গবেষণা করার কথা জানিয়েছিলেন। সারে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। ‘৫জি’ নিয়ে কাজ করার জন্য মোবাইল অপারেটর, অবকাঠামো নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এবং যুক্তরাজ্যের গবেষণা উন্নয়ন তহবিল অর্থ বরাদ্দও করেছে।
গবেষকেরা বলেন, ৫জি তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেছে। মোবাইল যোগাযোগব্যবস্থা এবং ইন্টারনেটের ব্যবহারের মধ্যে যে বাধা ছিল তা ইতিমধ্যে দূর হয়েছে। পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় চলার পথে ইন্টারনেট ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করা হবে।আগামী দশকে পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় সাশ্রয়ী অবকাঠামো তৈরিতে কাজ করা হবে। ২০২০ সাল নাগাদ ৫জি প্রযুক্তি চলে আসবে।
Source:
Prothom alo