আমাদের শরীরের ৪ শতাংশ তৈরি নানা ধরনের খনিজ পদার্থ দিয়ে। ৭৫ কেজি ওজনের একজন মানুষের শরীরের তিন কেজি হলো খনিজ। দেহের গঠন, বিপাকক্রিয়ার নানা জটিল রসায়নে ও নানা ধরনের শারীরবৃত্তীয় কার্যক্রমে অংশ নেয় এসব খনিজ পদার্থ। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যে দেহে কোনো খনিজ তৈরি বা উৎপাদিত হয় না, ফলে পুরোটাই গ্রহণ করতে হয় খাদ্যের মাধ্যমে। তাই খনিজ বা মিনারেল হলো অতীব দরকাির পুষ্টি উপাদান বা এসেনশিয়াল নিউট্রিয়েন্ট। এই তালিকায় গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে কমপক্ষে ÿ১৮ খনিজের নাম রয়েছে।
দেহের জন্য দরকারি খনিজগুলো হলো দুই ধরনের—ম্যাক্রোমিনারেল, মানে যেগুলো দৈনিক কমপক্ষে ১০০ মিলিগ্রামের বেশি পরিমাণে দরকার হয়, যেমন: ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সালফার ইত্যাদি। আর মাইক্রোমিনারেল লাগে খুব অল্প পরিমাণে৷ যেমন: আয়োডিন, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, ফ্লুরাইড, কপার, সেলেনিয়াম ইত্যাদি।

সূত্র: নিউট্রিশন ফ্যাক্ট।
প্রতিদিনের খাবারের তালিকাখনিজ
সোডিয়াম ও ক্লোরাইড
পটাশিয়াম
ক্যালসিয়াম
ম্যাগনেসিয়াম
ফসফরাস
লৌহ
জিঙ্ক
আয়োডিন
কাজ
পানির ভারসাম্য রক্ষা, পেশি ও স্নায়ুর কার্যক্রমে সাহায্য
পানির ভারসাম্য রক্ষা, পেশি ও স্নায়ুর কার্যক্রম
হাড় ও দাঁতের সুস্থতা, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, পেশির সংকোচন
আমিষ গঠন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, স্নায়ু কার্যক্রম
হাড় ও দাঁতের গঠন
রক্তকণিকা গঠন, অক্সিজেন সরবরাহ
বিপাকক্রিয়ায় অংশগ্রহণ, বৃদ্ধি ও বিকাশ, রোগ প্রতিরোধ
থাইরয়েড হরমোন তৈরি
উৎস
লবণ, কিছু সবজি
তাজা ফল ও সবজি, দুধ, শস্য
দুধ, দুগ্ধজাত দ্রব্য, কাঁটাসহ মাছ, সরিষাশাক
বাদাম ও বীজজাতীয় শস্য, সবুজ পাতার সবজি
মাছ, মাংস, ডিম, দুধ
মাংস, কলিজা, ডিমের কুসুম, শুকনো ফল, রঙিন সবজি
মাছ, মাংস, গোটা শস্য, সবজি
সামুদ্রিক মাছ, আয়োডিনযুক্ত লবণ, সবজি