ইল্যান্সে বাড়ছে বাংলাদেশিদের আয়
“শুধু মাত্র ইল্যান্স থেকেই ৩৪ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন বাংলাদেশের ফ্রীল্যান্সাররা, গত বছর বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা আয় করেছেন ২৭ কোটি টাকা”
অনলাইন বাজার ইল্যান্সে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারেরা কাজ করতে দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠছে। তথ্য প্রযুক্তির অবদান অসামান্য যার হাত ধরে গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের প্রযুক্তি বিভাগ, বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা ২০১৩ সালে ইল্যান্স থেকে আয় করেছে ৩৪ মিলিয়ন ডলার (২৭ কোটি টাকা)।
এবং বর্তমানে ইল্যান্সে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা ৫৬ হাজার।
ইল্যান্সের বাংলাদেশ প্রতিনিধি সাইদুর রহমান মামুন খান এক বিবৃতিতে বলেছেন, “বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা ইল্যান্স জগতে অকল্পনীয় সাফল্য এনেছেন। বাংলাদেশে ইল্যান্সের যাত্রা থেকে ২০১২ পর্যন্ত বাংলাদেশি ফ্রিল্যন্সাররা ইনকাম করে ছিলো মাত্র ৪২ মিলিয়ন ডলার (৩৪ কোটি টাকা)। এমতাবস্থায় বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা ২০১৩ সালেই ৩৪ মিলিয়ন ডলার(২৭ কোটি টাকা) আয় করে দেখিয়েছেন।”
সাইদুর রহমান মামুন খান আরেক বিবৃতিতে বলেছেন, “ইল্যান্সে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা বর্তমানে প্রতি ঘন্টায় ৮ ডলার আয় করে, এবং আরো অগ্রগতি হবে বলে আশা করছি। আর এই আয়ের ক্ষেত্রে বড় অবদান রাখছে ”তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়”, ইল্যান্সে প্রগ্র্যামিং ও আইটির ফ্রিল্যান্সাররা আয় বেশি করছে। এবং এর পরে অবস্থান করছে ব্যবসায় ও ফাইনান্স, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, রাইটিং এবং সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং ক্যাটাগরিগুলো। তিনি আরো জানান ইল্যান্সে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যার ব্যাপারে, “বাংলাদেশে ইল্যান্সের প্রথম যাত্রায় ৩০ হাজার নিবন্ধনকৃত ফ্রিল্যান্সার ২০১২ সালের ডিসেম্বরে যোগ দিয়েছিলো। তা মাত্র এক বছরের মাথায় গিয়ে দাড়িয়েছে ৫৬ হাজারের কোঠায়। এবং এই সংখ্যা থেমে নেই, বেড়েই চলেছে।
বাংলাদেশে বর্তমানে প্রতি মাসেই ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে নিয়মিত কার্যক্রম এবং সেমিনারের আয়োজন হতে থাকায় ফ্রিল্যান্সয়াররা কাজে আরো অনেক বেশি উৎসাহী হয়ে উঠছে। আর এরই সফলতা আমরা ফ্রিল্যান্সারদের কাজে দেখতে পাচ্ছি, বলেন সাইদুর রাহমান মামুন। তিনি আরো বলেছেন ফ্রিল্যান্সারদের সবচাইতে সেরা করে তুলতে যতটুকু সুযোগ লাগে ঠিক ততটাই সুযোগ দেবে ইল্যান্স।