ক্ষীণদৃষ্টির কারণ ও প্রতিবন্ধকতা
চোখ- মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মধ্যে অন্যতম এটি। শুধু অন্যতম নয় স্পর্শকাতরও এটি। সামান্য ভুল বা অযত্নে হারিয়ে যেতে পারে চোখের আলো। কমে আসতে পারে দৃষ্টি। যে কেউ হয়ে যেতে পারে ক্ষীণদৃষ্টি সম্পন্ন। তখন অন্ধকার নেমে আসে জীবনের গন্তব্যে। তাই চোখের ব্যাপারে সবাইকে যত্নবান হতে হবে।
ক্ষীণদৃষ্টির কারণ : ক্ষীণ দৃষ্টিসম্পন্ন মানুষ দূরের জিনিস প্রায় দেখতেই পান না, এমনকি দুই হাত দূরত্বের জিনিস দেখতেও অসুবিধা হয়। সাধারণত এ ধরনের সমস্যার প্রধান কারণ জন্মগত খুঁত, আঘাত, বার্ধক্য অথবা রেটিনাইটিস পিগমেনটোসা, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি, মায়োপিয়া, ম্যাকুলার ডি জেনারেশন, অপটিক অ্যাট্রফি, অ্যালবিনিজম, অ্যাক্রোম্যাটোস্পিয়া, কার্নিয়াল ও পাসিটি, হেমিয়ানোস্পিয়া, এমব্রায়োপিয়া, গ্লমোকা, স্টারগার্ডস ডিজিজ, বর্ণান্ধতা ইত্যাদি।
ক্ষীণদৃষ্টিতে অসুবিধা : ক্ষীণদৃষ্টির ফলে জীবনের প্রাত্যহিক স্বাভাবিক কাজকর্ম কিছুই সঠিকভাবে করা যায় না। যেমন হাঁটতে বা রাস্তা পার হতে সমস্যা, বইপড়া, রান্নাবান্না করা, মুখ অস্পষ্ট দেখা, আলো কমে গেলে আশপাশের দৃশ্যমান কমে আসা।
প্রতিরোধ : বর্তমানে ক্ষীণদৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে ডিভাইস অকুটেক ভেসপোর্ট। এটি চক্ষুবিজ্ঞানের অন্যতম প্রযুক্তি। যুক্তরাস্ট্রে এর গ্রহণযোগ্যতা সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়া ম্যাগনি ফায়ার, হ্যান্ড ম্যাগনি ফায়ার, অত্যাধুনিক পোর্টেবল ভিডিও ম্যাগনি ফায়ার, ব্যাটারি অপারেটিং টেলিস্কোপ যার সাহায্যে দূরত্বকে আপনি সহজেই আনতে পারেন একেবারে কাছে বা সনি্নকটে।
শুভাশিস চৌধুরী, অপটোমেট্রিস্ট লো ভিশন স্পেশালিস্ট ও অকিউ-লারিস্ট। ফোন : ০১৯১৪৭৫৭৫৮২
- See more at:
http://www.bd-pratidin.com/2014/09/27/33287#sthash.AS9J1FXR.dpuf