কোমর ব্যথা ব্যাকপেইনের অনেক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে ৯০ ভাগ হচ্ছে মেকানিক্যাল সমস্যা। মেকানিক্যাল সমস্যা বলতে মেরুদণ্ডের মাংসপেশি, লিগামেন্ট মচকানো, আংশিক ছিঁড়ে যাওয়া, দুই কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক সমস্যা, কশেরুকার অবস্থানের পরিবর্তন ও মেরুদণ্ডের বক্রতার পরিবর্তনকে বোঝায়। চলাফেরা, জীবিকার ধরন, খুব বেশি ভার বা ওজন বহন, মেরুদণ্ডের অতিরিক্ত নড়াচড়া, একটানা বসে বা দাঁড়িয়ে কোনো কাজ করা, মেরুদণ্ডে আঘাত পাওয়া সর্বোপরি কোমরের অবস্থানগত ভুলের জন্য হয়ে থাকে।
উপসর্গ : কোমরের ব্যথা আস্তে আস্তে বাড়তে পারে বা হঠাৎ প্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে। নড়াচড়া বা কাজকর্মে ব্যথা তীব্র থেকে তীব্রতর হতে পারে। ব্যথা কোমরে থাকতে পারে বা কোমর থেকে পায়ের দিকে নামতে পারে অথবা পা থেকে কোমর পর্যন্ত উঠতে পারে। অনেক সময় কোমর থেকে ব্যথা মেরুদণ্ডের পেছন দিক দিয়ে মাথা পর্যন্ত উঠতে পারে।
চিকিৎসা : এমআরআই করে সহজেই রোগ শনাক্ত করা যায়। এই ক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকরা রোগীকে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন, আলট্রাসাউন্ড থেরাপি, লাম্বার ট্রাকশন শর্টওয়েভ ডায়াথার্মি, অটো ও মেনুয়াল ট্রাকশন, হাইড্রোথেরাপি ও বিভিন্ন ধরনের ব্যায়ামের মাধ্যমে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। এতে অপরেশন লাগে না।
- See more at:
http://www.bd-pratidin.com/health/2014/10/20/37853#sthash.UYqawVD8.dpuf