পাঁচ শতাব্দী প্রাচীন খেরুয়া মসজিদ

Author Topic: পাঁচ শতাব্দী প্রাচীন খেরুয়া মসজিদ  (Read 1567 times)

Offline mustafiz

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 524
  • Test
    • View Profile
মুসলিম স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন হয়ে আজও দাঁড়িয়ে রয়েছে প্রায় পাঁচ শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহাসিক খেরুয়া মসজিদ। বগুড়ার শেরপুর উপজেলা সদর থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে গ্রামীন সবুজ শ্যামল ছায়াঘেরা মনোরম পরিবেশে খন্দকারটোলা গ্রামে এ মসজিদটির অবস্থান।

যে মসজিদটির নির্মাণ শৈলী আজও দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটক ও দশনার্থীদের হৃদয় মনে ভীষণভাবে সাড়া দেয়। সীমানা প্রাচীর ঘেরা এ মসজিদটির ভেতরে প্রবেশদ্বারের সামনেই রয়েছে প্রতিষ্ঠাতার কবর।


মসজিদের সামনের দেওয়ালে স্থাপিত ফার্সি শিলালিপি থেকে প্রাপ্ত তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে ‘শেরপুরের ইতিহাস’ বইয়ের লেখক ইতিহাসবিদ প্রাক্তন অধ্যক্ষ মুহাম্মদ রোস্তম আলী বাংলানিউজকে জানান, মির্জা নবাব মুরাদ খানের পৃষ্টপোষকতায় আব্দুস সামাদ ফকির ৯৮৯ হিজরির ২৬ জিলকদ (১৫৮২খ্রি.) সোমবার ওই স্থানে মসজিদটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।

উত্তর-দক্ষিণ লম্বা বিশিষ্ট মসজিদটির বাইরের দিকের দৈর্ঘ্য ৫৭ ফুট এবং প্রস্থ ২৪ফুট। ভেতরের দিকের দৈর্ঘ্য ৪৫ ফুট ও প্রস্থ ১২ ফুট। আর মসজিদের চারিদিকের দেওয়ালের পুরুত্ব ৬ ফুট। তিন গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদের চারকোনায় ৪টি মিনার ও পূর্ব দেওয়ালে ৩টিসহ উত্তর-দক্ষিণে আরও ২টি দরজা রয়েছে।

এছাড়া মসজিদের ৩টি মেহরাব আয়তকার ফ্রেমের মধ্যে অধ্যগোলকার করে স্থাপিত। মসজিদের কার্ণিস বাঁকানো। দেওয়ালে কিছু কিছু পোড়া মাটির চিত্র ফলকও ছিল। তবে সংখ্যায় খুবই কম।

এ মসজিদ নির্মাণে ইট, চুন ও শুড়কি ছাড়াও বৃহদাকার কৃষ্ণ পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। মসজিদের সামনের দেওয়ালে দু’টি শিলালিপি ছিল। এর একটি শিলালিপির ভেতরে বহু মূলবান সম্পদ রক্ষিত ছিল যা পরবর্তীতে ব্যবহৃত হয়। আর অপরটি বর্তমানে পাকিস্তানের করাচি জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে। 

সম্রাট আকবরের আমলে মসজিদটি নির্মিত হওয়ায় এর দেওয়ালের বিভিন্ন স্থানে ব্যতিক্রম অনেক চিহ্ন দেখা যায়। স্থাপত্য বিশারদদের মতে খেরুয়া মসজিদে সুলতানী ও মোঘল আমলের মধ্যবর্তী স্থাপত্য নিদর্শন প্রকাশ পেয়েছে। এতে বার ও আট কোনা কলাম ব্যবহার করা হয়েছে। যা বাঙলা স্থাপত্য শিল্পে বিরল।

Offline fahad.faisal

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 734
  • Believe in Hard Work and Sincerity.
    • View Profile
Thanks a lot for the informative post. We need to raise the concern for such issues.
Fahad Faisal
Department of CSE