নিউরোবিক জিমের সাতকাহন

Author Topic: নিউরোবিক জিমের সাতকাহন  (Read 1337 times)

Offline Saqueeb

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 536
  • Test
    • View Profile
নিউরোবিক জিমের সাতকাহন
« on: November 10, 2014, 04:51:19 PM »

ক্রমাগত মানবজীবনে আকাঙ্ক্ষা বেড়ে যাওয়া, কাজকর্মে তাড়াহুড়ো, আধুনিক জীবনযাত্রায় নিত্যদিনের দুর্ভাবনা সরাসরি মানবদেহের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়ায় (কার্ডিও-ভাসকুলার সিস্টেমে) প্রতিক্রিয়া ঘটায় বা প্রভাব ফেলে। হৃদযন্ত্রকে যদি অশ্বের সঙ্গে তুলনা করা হয় তবে মনকে বলতে হবে এর চালক বা অশ্বারোহী। চিকিৎসাবিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার ফলে অনেক মারণব্যাধির প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়েছে। কিন্তু মানসিক চাপজনিত অসুখের সংখ্যা ও ধরন দিন দিন বেড়ে চলেছে। এসবের ভিতর দেহে স্বাভাবিক রক্ত সঞ্চালনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির বিষয়টি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আমেরিকাসহ বিশ্বের বেশ কিছু উন্নত দেশে প্রধান ঘাতক হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে এই হৃদরোগ। যে কোনো রোগের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে মানুষ মারা পড়ছে এই ঘাতক ব্যাধির কবলে। হার্টঅ্যাটাক বা স্ট্রোকের পর বহুসংখ্যক মানুষ প্রতিনিয়ত এই ব্যাধির সঙ্গে সংগ্রাম করে চলেছে। স্ট্রোকের ঝুঁকির ভিতর বসবাস করছে অগণিত মানুষ। পাশাপাশি জীবনযাপনে সতর্কতা ও প্রয়োজনীয় পরিবর্তন এনে বহু লোক মৃত্যুঝুঁকি কমিয়ে এনেছে। হার্টঅ্যাটাককে ভূমিকম্প হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়। মানবদেহে এই 'ভূমিকম্প' আসতে অনেক বছর লেগে যেতে পারে, কিন্তু এই ভূমিকম্প হয় কোনো পূর্বাভাস না দিয়েই। বর্তমানে হৃদরোগ প্রতিরোধে হলিস্টিক পদ্ধতি বেশ এগিয়েছে। কোনো ওষুধ গ্রহণ ছাড়াই কেবল খাদ্যাভ্যাস ও জীবনাচারণে পরিবর্তন ও নিয়ন্ত্রণ এনে হৃদরোগ প্রতিরোধ সম্ভব। হলিস্টিকের ভিতর রয়েছে : নিয়ন্ত্রিত জীবনধারা, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ, হৃদরোগের ঝুঁকি সম্পর্কে শিক্ষাগ্রহণ, খাদ্যগ্রহণবিষয়ক পরামর্শ, ধূমপান পরিত্যাগ, যোগব্যায়াম, প্রাণায়াম, মেডিটেশন, নিউরোবিক জিম, পাশ্চাত্যের কিছু উন্নত পদ্ধতি, সুস্থ থাকার অন্যতম পদ্ধতি হচ্ছে নিউরোবিক জিম, প্রতিদিন সকাল বিকাল ৩০ মিনিট করে করতে হয়। এই নতুন চিকিৎসা পদ্ধতিতে অ্যালোপ্যাথিক ওষুধকে একেবারে বাদ দেওয়া হয় না। পাশাপাশি ওষুধ সেবন চলতে থাকে। তবে রোগীর অবস্থার উন্নতি হলে তখন ওষুধ চালিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। কয়েক সপ্তাহ খাদ্যগ্রহণে পরিবর্তন এনে, নিয়মতান্ত্রিক ব্যায়াম করে, চাপমুক্তির কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে এবং প্রাণায়াম, মেডিটেশন ও নিউরোবিক জিম চর্চা করে বুকের ব্যথা অনেকটাই দূরীভূত করা সম্ভব।
Nazmus Saqueeb
Sr. Lecturer, Dept. of Pharmacy,
Daffodil International University.