আল্লাহর কাছে বান্দার দোয়ার চেয়ে প্রিয় কিছু নেইইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে দোয়া হলো সৃষ্টিকর্তার কাছে কিছু চাওয়া বা কামনা করা। আল্লাহর কাছে চাইতে হবে কায়মনোবাক্যে। প্রভুর কাছে ভৃত্য যেমন আবেদন-নিবেদন করে তার চেয়েও বিনীত হতে হবে সে আবেদন।
আল্লাহ আমাদের স্রষ্টা। যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন আমাদের প্রতি তার মমত্ববোধ সহজেই অনুমেয়। পবিত্র কোরআনের সূরা মুমিনের ৬০ নম্বর আয়াতে দয়ালু আল্লাহ ইরশাদ করেছেন 'তোমরা আমাকে ডাক আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।'
আল্লাহ আমাদের দোয়া মঞ্জুর করতে ওয়াদা করেছেন। তবে এ ওয়াদা পূরণ হবে সর্বশক্তিমানকে ডাকার মতো ডাকলে। আল্লাহ চান বান্দা তার কাছে আবেদন করুক। আল্লাহর হাবিব রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, 'আল্লাহর কাছে বান্দার দোয়ার চেয়ে প্রিয় কিছু নেই।' (তিরমিযি)
আল্লাহ বিশ্বজগতের সব কিছুর মালিক। তিনি যেমন সব সম্পদের মালিক তেমনি সব কল্যাণেরও মালিক। আল্লাহ না চাইলে কারও পক্ষে কিছু অর্জন করা সম্ভব নয়। দোয়ার মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর কাছ থেকে রহমত অর্জন করতে পারে। আল্লাহ বান্দার আবেদন শুনতে ভালোবাসেন। বান্দার আনুগত্যের প্রকৃষ্ট প্রমাণ মেলে আল্লাহর কাছে তার আকুতি-মিনতির মাধ্যমে। মহান আল্লাহ সে আকুতি-মিনতিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে তার রহমতের দরজা খুলে দেন।
দোয়ার মাধ্যমে আমরা যে আল্লাহর বান্দা, তার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক যে প্রভু ও ভৃত্যের সে সত্যটি স্পষ্ট হয়। দোয়ার মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্বকে সংশয়াতীতভাবে স্বীকার করে নেয়। যে কারণে দোয়াকে ইবাদত ভাবা হয়। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দোয়াই ইবাদত। দোয়ার সময় মনে রাখতে হবে আল্লাহ আমাদের কথা শুনছেন। আস্থা রাখতে হবে আল্লাহ আমাদের মনোবাঞ্ছা পূরণ করবেন। দোয়ার সময় নিজের মনকে একান্তভাবে আল্লাহর দিকে স্থির করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো অন্যথা হলে চলবে না। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাবধান করে দিয়েছেন, 'আল্লাহপাক উদাসীন ও অমনোযোগীর দোয়া কবুল করেন না।' (তিরমিযি)
দোয়া যেহেতু ইবাদতের অংশ সেহেতু পাক-পবিত্র হয়ে দোয়া করতে হবে। সালাত আদায়, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির কিংবা দান-খয়রাত করার পর দোয়া করাই শ্রেয়। আল্লাহপাক আমাদের তার কাছে দোয়া করার তৌফিক দান করুন।
লেখক : ইসলামী গবেষক।
- See more at:
http://www.bd-pratidin.com/islam/2014/11/26/45896#sthash.1SiWyxuY.dpuf