তুলসি পাতার রয়েছে ঔষধি গুণাগুণ ও রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা। ত্বকের যত্নেও এই পাতার ভূমিকা রয়েছে। জেনে নেয়া যাক তুলসির নানা গুণ:
০১. তুলসি পাতা সেদ্ধ করে চায়ের মতো পান করলে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু প্রভৃতি অসুখ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। জ্বর হলে তুলসি পাতা এবং দারুচিনি মেশানো ঠাণ্ডা চা পান করুন। জ্বর সেরে যাবে দ্রুত।
০২. সামান্য গরম পানিতে তুলসি পাতা সেদ্ধ করে নিয়ে সেই পানি দিয়ে গার্গল করলে বা পানি পান করলে গলা ব্যাথা দ্রুত সেরে যাবে।
০৩. সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পেতে চাইলে তুলসি পাতা ৫ মিনিট চিবিয়ে রসটি গিলে ফেলুন। নিজেই দেখুন কেমন আরাম হচ্ছে।
০৪. তুলসি পাতার রস প্রতিদিন একগ্লাস করে পান করলে, কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকে। যদি কিডনিতে পাথর জমে যায় তাহলে তুলসি পাতার রস টানা ৬ মাস পান করলে সেই পাথর প্রশ্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায়।
০৫. তুলসি পাতা পানিতে ভিজিয়ে রাখলে পানি দূষণমুক্ত হয়।
০৬. তুলসি পাতার রসে প্রচুর ক্লোরোফিল থাকায় নিয়্মিত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
০৭. তুলসির বীজ সারারাত ভিজিয়ে রেখে প্রতিদিন সকালে খেলে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া দূর হয়।
০৮. ত্বকে ব্রণের সমস্যা সমাধানের একটি সহজ ও অন্যতম উপায় হল তুলসি পাতা। এছাড়া নানা রকম অ্যালার্জি ও র্যাশ হলে তুলসি পাতার পেস্ট তৈরি করে তা ত্বকে লাগালে সমস্যাগুলি কমে যায়।
০৯. পোকামাকড় কামড়ালে তুলসির রস আক্রান্ত স্থানে লাগালে ব্যাথা উপশম হয়।
১০. হাম ও সদ্য বসন্তের দাগ তুলতে তুলসি পাতার রস ব্যাবহার করা যায়।
১১. প্রতিদিন সকালে পানের সঙ্গে তুলসি পাতার শিকড় চিবিয়ে খেলে দেহ-মনে সজীবতা ফিরে আসবে।
১২. ত্বক পুড়ে গেলে নারিকেল তেলের সঙ্গে তুলসি পাতার রস মিশিয়ে লাগান। এতে ত্বকে পোড়া দাগ থাকবে না।
১৩. সপ্তাহে দুই দিন আমলকির রসের সঙ্গে তুলসি পাতার রস মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগালে খুশকি দূর হবে। একই সঙ্গে চুল পড়া বন্ধ হবে।
১৪. প্রতিদিন ৪ থেকে ৫টি তুলসি পাতা চিবিয়ে খেলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে।