উদ্ভিদ এবং প্রাণীদের শরীরের ফ্যাটের একটি রাসায়নিক রূপকে ট্রাইগ্লিসারাইডস বলা হয়। মানুষের শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইডস পরিবাহিত হয় ব্লাড প্লাজমার দ্বারা। অপ্রয়োজনীয় ট্রাইগ্লিসারাইডস ফ্যাট হিসেবে শরীরে জমে যায়। যে কোন প্রাকৃতিক স্নেহজাতীয় পদার্থেই ট্রাইগ্লিসারাইডস থাকে। তবে শুধু ফ্যাট নয়, কার্বোহাইড্রেট খেলেও ট্রাইগ্লিসারাইডস বেড়ে যায় কারণ বেশিরভাগ কার্বোহাইড্রেটকে শরীর ট্রাইগ্লিসারাইডসে পরিণত করতে পারে।
শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইডসের মাত্রা বেড়ে গেলে হার্টের অসুখের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ওবেসিটি, প্যানক্রিয়াটাইটিসের সম্ভবনাও বাড়িয়ে তোলে অত্যধিক ট্রাইগ্লিসারাইডস। স্টেরয়েডস, ডাইউরেটিকস এবং বার্থ কন্ট্রোল পিলের জন্যে অনেক সময় রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডসের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। রক্তে ২০০ মিগ্রা/ ডেসিলিটারের বেশি ট্রাইগ্লিসারাইড থাকলে তা বিপজ্জনক হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।
ট্রাইগ্লিসারাইডস সমস্যা থেকে দূরে থাকতে যা করবেন
১। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে লো ফ্যাট, লো কার্ব ডায়েট চালু করুন।
২। নিয়মিত ৩০-৪০ মিনিট মাঝারি বেগে করুন।
৩। নিজের আইডিয়াল বডি ওয়েট জেনে নিন। যে করেই হোক সেই ওজনে পৌঁছাবার চেষ্টা করুন।
৪। ধূমপান এবং অ্যালকোহল ত্যাগ করুন।
৫। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখুন।
৬। সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি মেনে চলুন।
তথ্যঃ সানন্দা