ডায়রিয়া, আমাশয়ে কাঁচাকলা উপকারী

Author Topic: ডায়রিয়া, আমাশয়ে কাঁচাকলা উপকারী  (Read 711 times)

Offline Saqueeb

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 536
  • Test
    • View Profile
সবুজ কলা যা সাধারণের কাছে কাঁচাকলা নামে পরিচিত, সেই কাঁচাকলা ডায়রিয়া এবং রক্ত আমাশয় বা ব্লাড ডিসেন্ট্রিতে উপকারী বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। আমেরিকান গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজি অ্যাসোসিয়েশনের গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজি জার্নালে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এই তথ্য জানিয়েছেন আইসিডিডিআরবির গবেষক ডা. জিএইচ রব্বানী। এক থেকে দুই বছর বয়সের ২০০ শিশুর ওপর পরিচালিত এই গবেষণায় দেখা গেছে শতকরা ৭০-৮৫ ভাগ ক্ষেত্রে দুই থেকে চার দিনের মধ্যে ডায়রিয়া এবং রক্ত আমাশয়ে আক্রান্ত শিশুরা সেরে উঠছে। গবেষণায় বলা হয়েছে কাঁচাকলায় রয়েছে বিশেষ ধরনের স্টার্চ বা শর্করা জাতীয় উপাদান যা মানুষের হজমযোগ্য নয়।

এই উপাদানটি পরিপাকনালিতে পৌঁছানোর পর সেখানে অবস্থিত ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা ভেঙে ফ্যাটি অ্যাসিডে পরিণত হয়। এই ফ্যাটি অ্যাসিড পরিপাকনালি থেকে লবণ ও পানিকে শোষণ করে ধরে রাখার মাধ্যমে পায়খানার সঙ্গে পানি বেরিয়ে যাওয়ার প্রবণতা হ্রাস করে।

এই গবেষণায় ২৫০ গ্রাম সিদ্ধ করা কাঁচাকলার সঙ্গে ১০ গ্রাম চালের গুঁড়া একসঙ্গে রান্না করে ধকধকে জাউ হিসেবে চামচ দিয়ে শিশুদের খাওয়ানো হয় যেহেতু চার মাস বয়সের আগে শিশুদের হজমক্ষমতা পূর্ণতা পায় না তাই এই বয়সের আগে কাঁচাকলার এই জাউ খাইয়ে কোনো লাভ হবে না। কিন্তু সব বয়সের ক্ষেত্রে কাঁচাকলা ডায়রিয়া কমাতে কতটুকু সাহায্য করবে তা নিয়ে এখনও গবেষণা হয়নি।

তা ছাড়া এই গবেষণা ডায়রিয়া আক্রান্ত হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের ওপর পরিচালিত হওয়ায় ডায়রিয়ায় শুধু কাঁচাকলার জাউ খেলেই চলবে কিনা সে সম্পর্কে এখনও কোনো গবেষণা হয়নি। গবেষণায় আরও বলা হয়, যেকোনো জাতের কাঁচাকলা দিয়েই এটি তৈরি করা যেতে পারে। তবে পাকা কলায় এই উপকার পাওয়া যাবে না। কারণ কলা পেকে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশেষ ধরনের সেই স্টার্চ চিনিতে রূপান্তরিত হয়ে যায়।       ডা. ইসরাত শর্মী
Nazmus Saqueeb
Sr. Lecturer, Dept. of Pharmacy,
Daffodil International University.