“পান হতে সাবধান”
২০০৪ সালে, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার করা গবেষনা অনুযায়ী এশিয়ার দেশগুলোতে মুখগহবরের ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা পশ্চিমা দেশগুলোর তুলনায় অনেক বেশী। আক্রান্ত রোগীদের ইতিহাস নিয়ে দেখা গিয়েছে যে তাদের একটা বড় অংশ পান পাতা চিবানোতে অভ্যস্ত। (১)
>ক্যান্সারের সঙ্গে চুনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গিয়েছিলো অবশ্য অনেক আগেই-সেই ১৯৯২ সালে, পাপুয়া নিউগিনিতে করা একটি গবেষনায় (২)।
>পরবর্তীতে ২০০২ এবং ২০০৮ সালে করা দুটো পৃথক গবেষনায় প্রমাণিত হয় যে শুধুমাত্র জর্দা ও সুপারীও ক্যান্সার তৈরীতে সরাসরি অবদান রাখে (৩, ৪)।
>মোটামোটি সাম্প্রতিক, ২০০৯ সালে তাইওয়ানে করা একটি গবেষনায় প্রমাণ হয় যে শুধু ক্যন্সার নয়, হৃদরোগের সঙ্গেও আছে পান চিবানোর সরাসরি সংযোগ (৫)।
>এরপর ২০১০ সালে বিজ্ঞানীদের চমকে দিয়ে প্রমাণিত হয় যে, পান খাওয়া লোকদের ক্যান্সার হওয়া শুধু মুখগহবরেই সীমাবদ্ধ নেই, পান এমনকি গলবিল, শ্বাসনালী, যকৃৎ, অগ্নাশয় ও ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়ার পিছনেও ভূমিকা রাখে (৬)।
> পান কিভাবে ক্যান্সার ঘটায় তা নিয়ে নানা মত আছে। কেউ বলেন পানে থাকা ট্যানিন ই এর জন্য দায়ী, যদিও কি উপায়ে তা এখনো অজানা (৭).. আরেকদলের মতে, পানের উপাদান সরাসরি কোষের ডিএনএর উপরে কাজ করে ক্যান্সার তৈরীতে ভূমিকা রাখে (৮)... আবার কেউ বলেন, পানে থাকা চুন মুখের অভ্যন্তর কে ক্ষারীয় করে ফ্রি র্যাডিকেল তৈরীতে সহায়তা করে যা ক্যান্সার কোষ সৃষ্টির জন্য দায়ী।
>অন্তত প্রায় ১০ বছর ধরে যাদের নিয়মিত ভাবে সুপারী চিবানোর অভ্যাস আছে তাদের চেহারাতেও আসে পরিবর্তন। গালের চর্বি ঝরে মুখ লম্বাটে হয় যায়, ফিবরোসিস তৈরী হওয়ার কারণে মুখের মাংসপেশি শক্ত হয়ে মুখ অনেকটা কাঠের মূর্তির আদল পায়, চোখ কিছুটা বাইরের দিকে বেড়িয়ে আসে, এমনকি মুখের উচ্চারনেও পরিবর্তন আসে। চেহারার এই ধরণের পরিবর্তনকে বলা হয় “গুটকা সিন্ড্রোম”। (৯)
Collected.