রাস্তায় অনেক সময় ধরে বসে থাকতে থাকতে অফিসে আসতে দেরি হয়ে যায়? দীর্ঘ সময় ধরে ভ্রমণ বা যাতায়াতের সঙ্গে মানসিক চাপ বেড়ে যাওয়ার এবং মানসিক শান্তি নষ্ট হওয়ার সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন কানাডার গবেষকেরা। দ্য গার্ডিয়ানের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা দীর্ঘ ভ্রমণের সঙ্গে মানসিক চাপের সম্পর্ক বিষয়ে গবেষণা করেছেন। তাঁরা দাবি করেছেন, দীর্ঘ ভ্রমণে সময়সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মানসিক চাপ তৈরি হয়। এতে মানুষের শখ ও শারীরিক কসরতের সময়ও কমে যায়।
গবেষকেরা দেখেছেন, যত বেশি সময় রাস্তায় কাটবে ও অফিস ধরার তাড়া থাকবে, তাঁরা জীবনে তত বেশি অসুখী হয়ে উঠবেন।
অফিসে যেতে বা ফিরতে বাসে, ট্রেনের যানজটে আটকে থাকা কারও কাছে নিশ্চয়ই সুখকর অভিজ্ঞতা নয়। এতে সময়সংক্রান্ত চাপ বাড়তে থাকে।
গবেষক মার্গো হিলব্রেচসট দাবি করেন, আমরা গবেষণা করে দেখেছি, মানুষ কাজে যাওয়ার সময় যত বেশি আটকে থাকবে, তাদের জীবনে সন্তুষ্টির মাত্রা তত কমতে থাকবে।
ওয়ার্ল্ড লেজার জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ। গবেষক হিলব্রেচসট দাবি করেন, কিছু মানুষ রাস্তায় দীর্ঘ সময় কাটাতে পছন্দ করেন। কিন্তু সব মিলিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে ভ্রমণ করলে বা দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় কাটাতে হলে জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে সময় কমতে থাকে, যা চাপের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের অবনতিও ঘটায়।
গবেষকেরা শুধু রাস্তার জ্যামকেই জীবন নিয়ে অসন্তুষ্টির জন্য দায়ী করেননি। তাঁদের চোখে আরেকটি কারণ হচ্ছে যানবাহনে শারীরিক সক্রিয়তার সুযোগ না থাকা। এ ছাড়া জীবনে সন্তুষ্টির ক্ষেত্রে, কাজের সময়ের ক্ষেত্রে নমনীয়তা ও পরিবার চালানোর জন্য বেশি আয়ের বিষয়টিও নির্ভর করে।