চুল পরা তথা টাঁক পরা কীভাবে প্রতিরোধ করা যায় আজ আমরা জানব

Author Topic: চুল পরা তথা টাঁক পরা কীভাবে প্রতিরোধ করা যায় আজ আমরা জানব  (Read 1878 times)

Offline Alamgir240

  • Jr. Member
  • **
  • Posts: 84
  • Test
    • View Profile
চুল পরা তথা টাঁক পরা কীভাবে প্রতিরোধ করা যায় আজ আমরা জানব

চুল পড়া সমস্যার সাথে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত। হালকা কিছু চুল পড়লেই আমরা অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়ি এই ভেবে যে, এই বুঝি মাথায় ‘টাঁক’টা পড়ল! আচ্ছা বলুন তো দিনে একজন সুস্থ মানুষের গড়ে কতটি চুল পড়ে? উত্তর ১০০ টি! কি বিশ্বাস হচ্ছে না? এটি কিন্তু আমার কথা না। আমেরিকার হেয়ার লস হেলথ সেন্টারের এক গবেষণায় এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে। অবশ্য তারা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করেছেন যে, যদি চুল পরা এবং ক্রমান্বয়ে টাঁক পরা যদি পারিবারিক সূত্রে চলে আসে তবে আপনার টাঁক পরার সম্ভাবনা অনেকাংশেই বেঁড়ে যায়। আর যদি এই টাঁক পরা বংশানুক্রমিক না হয়ে থাকে তবে আপনার জন্য রয়েছে সুখবর। হ্যাঁ, চুল পরা তথা টাঁক পরা কীভাবে প্রতিরোধ করা যায় আজ আমরা জানব তারই ইতিবৃত্ত। তো চলুন জেনে আসি।
১। চুলের জন্যে শরীরের সঠিক ভিটামিন সরবরাহ করা নিতান্তই প্রয়োজনীয়। দরকারি ভিটামিনের অভাবে চুল পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে ভিটামিন ট্যাবলেট গুলো খেয়ে সেই ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করতে পারেন। ভিটামিন ই মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে ত্বকের কোষগুলোকে উৎপাদনক্ষম রাখে। ভিটামিন এ হচ্ছে অ্যাণ্টি-অক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট মাথার ত্বকে সেবাম (তৈলাক্ত অংশ) উৎপাদন অনেকাংশেই বাড়িয়ে দেয়। আর ভিটামিন বি আমাদের শরীরে মেলানিন তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আমাদের গায়ের রঙ এই মেলানিনের কারণেই হয়ে থাকে, আর চুলের রঙও। তাই যদি শরীরে মেলানিনের উৎপাদন বাড়ে তাহলে তার প্রভাব আমাদের চুলের রঙের ক্ষেত্রেও পরবে। আর তাছাড়া মেলানিন আমাদের রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয়।
২। নারিকেল তেল, সরিষার তেল ইত্যাদি যেকোনো প্রাকৃতিক তেলকে কোন পাত্রে নিয়া হালকা করে গরম করে নিন। এরপর হাল্কা গরম তেলকে মাথার ত্বকে ভালো করে মেসেজ করে নিন। এক ঘণ্টা থেকে দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এরপর ভালো শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ঢুয়ে ফেলুন। এটি ‘হট অয়েল ট্রিটমেন্ট’ নামে পরিচিত। চুলের জন্যে হট অয়েল ট্রিটমেন্ট বেশ উপকারি।
৩। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গ্রিন টি পাওয়া যায়। সেখান থেকে আপনার পছন্দ মতো ব্র্যান্ডেরটা কিনে নিন। এবার হাল্কা গরম পানি একটা কাপে নিয়ে সেটাতে দুইটা টি ব্যাগ ব্যবহার করুন। পানি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে সারা মাথায় সেটাকে ব্যবহার করুন। প্রায় এক ঘণ্টা পরে মাথা ধুয়ে ফেলুন। গ্রিন টিতে অ্যাণ্টি অক্সিডেন্ট আছে, যা মাথার ত্বকে সেবামের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে।
৪। বাজারে দেশি পেয়াজ ভালো দেখে কিনে এনে সেটাকে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে সেই রসটুকু মাথার ত্বকে মাখুন।চুল পড়া বন্ধে নিয়মিত পেয়াজের রস ব্যবহার করা বেশ উপকারি। তাছাড়া আদার রসও মাথার ত্বকে ব্যবহার করা যাবে।

তথ্যসুত্রঃ আমেরিকান হেয়ার লস সেন্টার