পেঁয়াজ হয় মাটির তলায়। তবে পেঁয়াজের সবুজ পাতা মাটি ভেদ করে ওপরে উঠে আসে। তরকারিতে পেঁয়াজের পাতা মিশিয়ে দিলে স্বাদ বেড়ে যায় অনেকটা। সবজি হিসেবে এর কদরও আছে। বারডেম জেনারেল হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ আখতারুন্নাহার নাহার আলো জানালেন, যাঁদের রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে, তাঁরা ছাড়া বাকি সবার জন্য এটি সবজিটি উপকারী। এবার পেঁয়াজের পাতার গুণকীর্তন শুনে নেওয়া যাক।
সংক্রমণ রোধ: পেঁয়াজ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি একই সঙ্গে অ্যান্টি-হিস্টামিন গুণসমৃদ্ধ। নিয়মিত খেলে অনেক রোগ সহজেই এড়ানো যায়।
গলাব্যথায়: শীতে গলাব্যথার প্রকোপ বাড়ে। গলাব্যথা দূর করতে এবং সর্দি-কাশি থেকে বাঁচতে নিয়মিত পেঁয়াজ পাতা খেতে পারেন।
পা ফুলে যাওয়া: বেশি হাঁটা কিংবা পরিশ্রমে পা ফুলে যায় কখনো কখনো। পা ফোলার জন্য অনেকই ওষুধ খেতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। তখন পেঁয়াজের পাতা বেটে পেস্ট বানিয়ে পায়ে মাখলে উপকার পাবেন।
হাড়ের ব্যথায়: যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে হাড়ের ব্যথায় ভুগছেন। বিশেষ করে অস্টিও আর্থ্রাইটিস রোগীর জন্য উপকারী এই সবজি। হাড়ের ব্যথা দূরের সঙ্গে সঙ্গে ফোলা কমাতেও সক্ষম।
চোখ ভালো রাখতে: পেঁয়াজের কলিতে থাকে লুটেইন, বিটা ক্যারোটিনের মতো প্রয়োজনীয় সব উপাদান। উপাদানগুলো চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। সেই সঙ্গে চোখে ছানি পড়া রোধ করে এবং বয়সজনিত চোখের সমস্যা দূর করে।
ক্যানসার প্রতিরোধ: এশিয়া প্যাসিফিক জার্নাল অব ক্যানসার প্রিভেনশনে বলা হয়েছে, যাঁরা নিয়মিত পেঁয়াজের পাতা খান, তাঁদের ক্যানসার হওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য: সাধারণ ভাইরাস দ্বারা যে রোগগুলো সচরাচর হয়ে থাকে, সেসব রোগের বিরুদ্ধে লড়ার এক অসাধারণ ক্ষমতা আছে সবজিটির।
রক্তের চিনি কমায়: রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীর জন্য খুব উপকারী।