প্রকৃতিদেবী সবসময় আমাদের কাছে একই রূপে ধরা দেয় না।কখনো আমরা তাকে দেখি শান্ত রূপে,কখনো বা জ্বলে ওঠে প্রবল ঝলসানো আলোয়,বিকট শব্দে।বজ্রপাতের সময় এমনটা দেখা যায়।তারপর যখন প্রকৃতিদেবী শান্ত হয়ে আসে,আমরাও ভুলে যাই সব।কিন্তু আমাদের অজান্তেই ঘটে চলে কিছু ঘটনা।চলুন জেনে নিই,ব্জ্রপাতের ফলে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনার কথা।
১.ব্জ্রপাতের ফলে সৃষ্ট বিজলির আলো কারো গায়ে পড়লে চামড়ায় এক ধরণের ফুসকুড়ি দেখা দেয়।এই ফুসকুড়ি দেখতে অনেকটা গাছের আকৃতি মতো।এই রেশ বা ফুসকুড়ি লাল রংয়ের হয়ে থাকে।
২.ব্জ্রপাতের ফলে সৃষ্ট বিদ্যুত কোনো গাছের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হলে গাছের ভেতর এত বেশি তাপ উতপন্ন হয় যে,গাছের শাখা প্রশাখা বিদীর্ণ হয়ে যায়।অনেক সময় ফাটল দিয়ে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়।
৩.বিজলি ছাড়া বজ্রপাত ঘটতে পারে না।কারন,বিদ্যুত উতপন্ন হলে আগে আমরা আলো দেখতে পাই,তারপর বজ্রপাতের আওয়াজ শুনি।
৪.ব্জ্রপাতের ফলে উতপন্ন বিদ্যুত মাটিতে নামলে,সেই স্থানে যদি বালি বা শিলাখন্ড থাকে তবে বিদ্যুত সরাসরি সেইদিকেই বাহিত হয়।তারপর তা জীবাশ্মে পরিণত হয়।বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এই ধরনের জীবাশ্ম ছড়িয়ে আছে।
৫.দক্ষিণ আমেরিকার মারাকাইবো হ্রদে বছরে প্রায় ৩০০বার ব্জ্রপাত ঘটে।কখনো কখনো সেকেন্ডে কয়েকবার ঘটে।গত বছর এই হ্রদটি বিশ্বের সবচাইতে ব্জ্রপাতপ্রবন এলাকা হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
৬.ব্জ্রপাতজনিত যে আতংক বা ভয়,অনেকের মাঝে রয়েছে তাকে বলা হয়,এস্ট্রাফোবিয়া।উচ্চতাজনিত এবং পশুপাখি জনিত আতংকের পর আমেরিকার একটি অতি পরিচিত আতংক হল এই বজ্রপাত।
আমাদের দেশেও এই বজ্রপাত ভয়াবহ এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে পরিচিত।প্রতি বছর বজ্রপাতে আক্ররান্ত হয়ে বহু মানুষ মারা যায়।সাম্প্রতিক কালে গবেষকরা মোবাইল ফোন ব্যবহারের আধিক্যকে ব্জ্রপাতের পরিমান বৃদ্ধির কারন বলে উল্লেখ করেছেন।(সূত্র:রিডারস ডাইজেস্ট ডট কম)