একটি পাত্রে পানির মধ্যে মুরগির ডিম রেখে চুলোয় জ্বাল দিয়েই যাচ্ছেন। কিন্তু ডিম আর সেদ্ধ হচ্ছে না! কেমন লাগে? বিজ্ঞানীরা কিন্তু সহজ উপায়েই ডিম সেদ্ধ না হওয়ার পদ্ধতিটি বের করে ফেলেছেন। বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, তাঁদের এই উদ্ভাবন চিকিৎসাক্ষেত্রে বড় ধরনের কাজে আসবে। বিশেষ করে ক্যানসারের চিকিৎসার খরচ কমে যাবে। এ ছাড়া ডিম সেদ্ধ হওয়া ঠেকানোর এ পদ্ধতিটি প্রোটিনসংশ্লিষ্ট বায়োটেকনোলজির গবেষণার গতি ত্বরান্বিত করবে। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে পিটিআই।
যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার রসায়নবিদেরা যৌথভাবে গবেষণা করে ডিমের সাদা অংশ সেদ্ধ হয়ে যাওয়া ঠেকানোর পদ্ধতি উদ্ভাবন করার দাবি করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, আরভিনের রসায়নের অধ্যাপক জর্জ ওয়েসিস বলেন, ‘হ্যাঁ, সত্যিই আমরা ডিম সেদ্ধ ঠেকানোর পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছি।
‘কেমবায়োকেম’ নামের একটি সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণা-সংক্রান্ত নিবন্ধ।
গবেষক ওয়েসিস বলেন, ‘আমাদের গবেষণাপত্রে, আমরা একটি যন্ত্রের বর্ণনা করেছি যার সাহায্যে ডিমের প্রোটিন আলাদা করে আবার তা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া যায়। ৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ২০ মিনিট ডিম সেদ্ধ করে আমরা তাতে মূল প্রোটিনযুক্ত করে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে পেরেছি। এই প্রোটিনটির নাম লাইসোজোম।’
গবেষকেরা অবশ্য ডিমপ্রেমীদের আশার কথা শুনিয়ে বলছেন, ডিম প্রসেসিং নিয়ে তাঁদের আগ্রহ কম। তাঁদের উদ্ভাবিত প্রক্রিয়াটি কতটা শক্তিশালী তা বোঝাতেই এই পরীক্ষা করা হয়েছে। মূলত এই পদ্ধতিটি প্রোটিন তৈরির গবেষণা ও শিল্পের ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে। প্রয়োজনীয় প্রোটিন তৈরি সহজ হওয়ায় এতে ক্যানসার চিকিৎসার খরচ কমে যাবে।