মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুক। জীবনের ইতিবাচক বা নেতিবাচক সব ধরনের ঘটনাই ফেসবুকের মাধ্যমে উন্মুক্ত করে দিচ্ছেন ১৩৫ কোটি ব্যবহারকারী। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা এক গবেষণা করে দেখেছেন, জীবনের ইতিবাচক ঘটনাগুলো ফেসবুকে পরোক্ষ ও নেতিবাচক ঘটনাগুলো প্রত্যক্ষভাবেই বিনিময় করছেন অধিকাংশ ফেসবুক ব্যবহারকারী। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে আইএএনএস।
জীবনের ইতিবাচক ঘটনাগুলোর ছবি, চাকরি পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলো পরোক্ষভাবে ফেসবুকে জানাচ্ছেন আর নেতিবাচক অভিজ্ঞতাগুলো বিস্তারিত হালনাগাদ স্ট্যাটাস বা ওয়াল পোস্টের মাধ্যমে তুলে ধরছেন।
ক্যালিফোর্নিয়ার চ্যাপম্যান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা ফেসবুক ব্যবহারকারীদের জীবনের প্রেম, বিরহ, স্বাস্থ্য, কাজ ও শিক্ষার বিষয়গুলো কীভাবে ফেসবুকে আসে তা জানতে এই গবেষণা চালান। তাঁরা দেখেছেন, ফেসবুক ব্যবহারকারীরা কোনো বিষয় ফেসবুকে দেওয়ার সময় সেটি ইতিবাচক নাকি নেতিবাচক, সে বিবেচনা থেকে পোস্ট করেন।
‘সাইবারসাইকোলজি, বিহেভিয়র অ্যান্ড সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণা সংক্রান্ত নিবন্ধ। গবেষক জেনিফার বেভান ও তাঁর সহকর্মীরা ফেসবুক ব্যবহারকারীদের জীবনের নির্দিষ্ট ঘটনার ওপর আলোকপাত করে এই গবেষণা চালিয়েছেন।
ফেসবুকে তথ্য বিনিময় প্রসঙ্গে সাইবার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে, ‘ফেসবুকে কী শেয়ার করা হচ্ছে, সে বিষয়টি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকা উচিত। এ ছাড়া তথ্য বিনিময় করার আগে প্রাইভেসি বা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বিষয়টিও নিশ্চিত করে রাখা ভালো। ’