যারা স্বল্পমাত্রায় মিনারেল খান তাদের তুলনায় যারা উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম সমৃদ্ধ ফল, সবজি ও দুগ্ধজাত খাবার খান তাদের স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় একথা বলা হয়েছে।
দুই লাখেরও বেশি মধ্য-বয়সী ও প্রাপ্তবয়স্কের ওপর পরিচালিত ১০টি আন্তর্জাতিক গবেষণার ফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে দেখা যায়, গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা দৈনিক পটাশিয়াম গ্রহণের হার ১ হাজার মিলিগ্রাম বাড়ানোয় পরবর্তী ৫-১৪ বছরে তাদের স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ১১ শতাংশ কমে গেছে।
কেবলমাত্র পটাশিয়ামের কারণেই এমনটি ঘটেছে গবেষণায় তা প্রমাণিত না হলেও গবেষকরা বলছেন, যে কোনো মানুষের জন্যই পটাশিয়াম কমবেশি উপকারী।
সুইডেনের 'ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট' এর গবেষক সুসানা সি লারসনের নেতৃত্বে পরিচালিত গবেষণার এ ফল 'স্ট্রোক' সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবারগুলো স্বাস্থ্যকর। যেমন: শিম জাতীয় খাবার, বিভিন্ন ধরনের ফল, শাক-সব্জি, কম-চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার প্রভৃতি। আর সেকারণেই মানুষের তা খাওয়া উপকারী।
মানবদেহের তারল্যের ভারসাম্য রক্ষায় পটাশিয়াম প্রয়োজনীয় উপাদান। তাছাড়া, স্নায়ু, পেশি নিয়ন্ত্রণ ও রক্ত সঞ্চালনে এটি কাজে আসে।
আগেও বহু গবেষণায় দেখা গেছে, খাবারে উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম থাকলে তা রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।