প্রযুক্তি বিশ্বের ক্ষমতাধর ১৯ দম্পতি

Author Topic: প্রযুক্তি বিশ্বের ক্ষমতাধর ১৯ দম্পতি  (Read 1066 times)

Offline Sahadat

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 305
  • Test
    • View Profile
কিছু দম্পতি শুধু একে অপরের জন্যও পারফেক্টই নয়, তাদের হাতেও থাকে অনেক ক্ষমতা। প্রযুক্তি বিশ্বেও আছেন এমন কিছু ক্ষমতাধর দম্পতি যারা নামকরা বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে থেকে নিচ্ছেন প্রযুক্তি বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত।

ভ্যালেন্টাইন দিবস উপলক্ষ্যে বিজনেস ইনসাইডার প্রকাশ করেছিল এমনই ১৯ দম্পতির কথা। প্রিয় পাঠকদের জন্য আজ এই ১৯ দম্পতির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা প্রকাশ করা হল।


১. মারিসা মেয়ার এবং জ্যাক বোগ: ক্ষমতার কথা বলতে গেলে প্রথমেই আসে ইয়াহুর প্রধান নির্বাহী মারিসা মেয়ারের নাম। খুবই খারাপ অবস্থায় থাকা ইয়াহুকে তিনি টেনে তুলেছেন উপরের দিকে। আলিবাবার সাথে করেছেন গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি। এ বছরও তিনি প্রথম থেকেই আছেন খবরের শিরোনামে। আলিবাবার সাথে থাকা ইয়াহুর চুক্তিকে দিতে চাইছেন নতুন মাত্রা, খোলার পরিকল্পনা করছেন একটি নতুন পাবলিক কোম্পানি। ধারণা করা হচ্ছে, এর মাধ্যমে আবারও লাভের মুখ দেখতে শুরু করবে ইয়াহু। মেয়ারের স্বামী জ্যাক বোগ ডেটা কালেক্টিভ নামক একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্মের কো-ম্যানেজিং পার্টনার। আর এই জুটি প্রযুক্তি বিশ্বের বেশ আলোচিত জুটি।


২. অ্যারন এবং ক্যারিন হার্শকোরোন: এই দম্পতি যৌথভাবে প্রতিষ্ঠা করেছেন 'ডগভ্যাকে' নামক একটি প্রতিষ্ঠান। মূলত কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে কেউ চাইলে তার কুকুরকে এই প্রতিষ্ঠানের কাছে রেখে যেতে পারেন। এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির জন্য হার্শকোরোন দম্পতি ৪৭ মিলিয়ন ডলার তহবিল সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়েছেন। ফার্স্ট রাউন্ড ক্যাপিটাল, বেঞ্চমার্ক এবং অ্যান্ডারসন হরোউইটজ-এর মতো প্রতিষ্ঠান এতে বিনিয়োগ করেছে। বেশ ভালভাবেই এগিয়ে যাচ্ছেন এই দম্পতি।


৩. ড্যাভ এবং ব্রিট মরিন: একসময় অ্যাপল এবং ফেসবুকে কাজ করেছেন ড্যাভ মরিন। আর তার স্ত্রী ব্রিট কাজ করেছিলেন গুগলে। প্রযুক্তি বিশ্ব সম্পর্কে অভিজ্ঞ এই দম্পতি এখন নিজ নিজ স্টার্টআপ নিয়ে ব্যস্ত আছেন। ড্যাভের আছে পাথ নামক একটি মোবাইল সোশ্যাল নেটওয়ার্ক। অন্যদিকে ব্রিটের আছে ব্রিট+কো নামক একটি গৃহস্থালি বিষয়ক ওয়েবসাইট। ২০১১ সালে জুটিবদ্ধ হওয়া এই দম্পতি কিছুদিন আগেই প্রথমবারের মত সন্তানের মুখ দেখেছেন।


৪. ডেনিস এবং চেলসা ক্রাউলি: ফোরস্কয়ারের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান নির্বাহী ডেনিস ক্রাউলি আর তার স্ত্রী চেলসা ক্রাউলি একটি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ করছেন। ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ফোরস্কয়ার যুক্তরাষ্ট্রে বেশ জনপ্রিয় লোকেশন বেজড মোবাইল অ্যাপ। অন্যদিকে চেলসার প্রতিষ্ঠান কাজ করে বিভিন্ন রূপসজ্জার সরঞ্জাম নিয়ে। এক বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর ২০১৩ সালের অক্টোবরে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তারা।


৫. অ্যালি এবং মার্ক পিনকাস: ২০০৭ সালে অনলাইন গেমিং প্রতিষ্ঠান 'জিংগা' প্রতিষ্ঠা করেন মার্ক। কিন্তু গত বছর প্রতিষ্ঠানটির সকল গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থেকে তাকে অপসারণ করা হয়। আর এরপরই তিনি সবার কাছে পরিচিত হয়ে উঠেন। প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক মূল্য বর্তমানে প্রায় ১০০ কোটি ডলার। অন্যদিকে তার স্ত্রী অ্যালি ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠা করেন হোম ফার্নিশিং প্রতিষ্ঠান ওয়ান কিংস লেন যা মূলত অনলাইনেই কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।


৬. কেভিন এবং জুলিয়া হার্টজ: জনপ্রিয় অনলাইন টিকেটিং ওয়েবসাইট ইভেন্টব্রাইটের প্রতিষ্ঠাতা দম্পতি কেভিন এবং জুলিয়া। তাদের প্রথম দেখা হয়েছিল এক বন্ধুর বিয়েতে। এর আগে জুলিয়া কাজ করতেন এমটিভি'তে। আর কেভিন তখন ব্যস্ত ছিলেন তার দ্বিতীয় স্টার্টআপ 'জুম' নিয়ে। বিয়ের আগেই একত্রে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরির পরিকল্পনা ছিল এই জুটির।


৭. শেরিল স্যান্ডবার্গ এবং ড্যাভ গোল্ডবার্গ: বেশ ক্ষমতাধর জুটি এটি। শেরিল ফেসবুকের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা। অন্যদিকে সার্ভেমানকির সিইও ড্যাভ। লাইফ পার্টনার বেঁছে নেওয়াটা ছিল একজন প্রফেশনাল হিসেবে শেরিলের নেওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একক সিদ্ধান্ত। আর এক্ষেত্রে ভুল করেননি শেরিল। ড্যাভ শেরিলকে নানা ক্ষেত্রেই দিয়েছেন উৎসাহ উদ্দীপনা। কাজের ক্ষেত্রেও ড্যাভের ছিল বড় সমর্থন। কয়েক বছর আগে বিজনেস ইনসাইডারের এক সম্মেলনে শেরিল বলেন, "আমার একজন চমৎকার স্বামী আছেন। আর আমরা দুজনেই ৫০-৫০।"


৮. সুসান ক্রেগ কগার এবং এরিক কগার: কলেজে থাকা অবস্থায়ই মডক্লথ নামক একটি প্রতিষ্ঠান দাড় করান সুসান এবং এরিক। মূলত সুসানের বাসায় পুরনো জামাকাপড়ের স্তূপ জমে যাচ্ছিল। আর তাই একটি অনলাইন স্টোর তৈরির জন্য তিনি নিয়োগ দেন এরিককে। পরবর্তীতে তারা এটি নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়েন এবং আরও বড় হতে থাকে মডক্লথ। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত আছেন শ'খানেক কর্মী।


৯. পল গ্রাহাম এবং জেসিকা লিভিংস্টন: ওয়াই কম্বিনেটর নামক একটি স্টার্টআপ স্কুল এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটালের প্রতিষ্ঠাতা পল এবং জেসিকা। এখন পর্যন্ত শ'খানেক ওয়েবসাইটে তারা বিনিয়োগ করেছেন। এর মধ্যে আছে ড্রপবক্স এবং এয়ারবিএনবি'র মতো প্রতিষ্ঠানও।


১০. মাইকেল এবং ক্যাস ল্যাজেরো: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম 'বাডি মিডিয়া'র প্রতিষ্ঠাতা এই দম্পতি। ২০১২ সালে ৭০০ মিলিয়ন ডলারে এটি কিনে নেয় সেলসফোর্স। সফল বিজনেস পার্টনারের পাশাপাশি সফল জুটি হিসেবেও নিজেদের বিবেচনা করেন মাইকেল।


১১. বিল এবং মেলিন্ডা গেটস: প্রযুক্তি বিশ্বের সবথেকে পরিচিত মুখ এই দম্পতি। আর ক্ষমতার কথা বলাই বাহুল্য। এই দম্পতি যৌথভাবে গড়ে তুলেছেন বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। দারিদ্র দূরীকরণের জন্য ২০০০ সাল থেকেই তারা দান করে আসছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ। মেলিন্ডা গেটসের সাথে বিলের পরিচয় হয়েছিল কিভাবে জানেন? মেলিন্ডা গেটস মাইক্রোসফটের একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজার ছিলেন। আর সেই থেকেই পরিচয় এবং পরিণয়।


১২. কার্লে রনি এবং ড্যাভিড লিউ: নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের পরিচয়। কিন্তু তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের ৮ বছর পর, এক পার্টিতে দেখা হওয়ার সময়। আর তাঁরাই কিনা প্রতিষ্ঠা করেছেন বিবাহ বিষয়ক ওয়েবসাইট 'দ্য নট'।


১৩. এমজি সিয়েগলার এবং মেগান কুইন: প্রযুক্তি বিশ্বের পরিচিত মুখ মেগান এবং সিয়েগলার। মেগান ক্লেইনার পার্কিন্স কফিল্ড এন্ড বায়ারস নামক একটি প্রতিষ্ঠানের অংশীদার। আর সিয়েগলার গুগল ভেনচারে কর্মরত। মেগান এর আগে কাজ করেছেন স্কয়ার এবং গুগলে। আর টেকক্রাঞ্চের নামকরা লেখক ছিলেন সিয়েগলার।


১৪. নিহাল মেহতা এবং রেশমা সৌজানি: মোবাইল অ্যাডভারটাজিং প্রতিষ্ঠান লোকাল রেসপন্সের প্রতিষ্ঠাতা নিহাল। এছাড়া বেশ কিছু স্টার্টআপে তার বিনিয়োগ রয়েছে। আর নারীদের প্রোগ্রামিংয়ে উৎসাহিত করতে রেশমা চালু করেছেন 'গার্লস অ্যাট কোডিং' নামক একটি উদ্যোগ।


১৫. ডায়ান গ্রিন এবং মেন্ডেল রোসেনব্লাম: ডায়ান গুগলের একজন বোর্ড মেম্বার। তিনি আর তার স্বামী রোসেনব্লাম ভিএমওয়্যার প্রতিষ্ঠাতা করেন। ২০০৮ সাল পর্যন্ত গ্রিন প্রতিষ্ঠানটির সিইও ছিলেন।


১৬. স্যাম এবং জেসিকা লেসিন: স্যাম ড্রপ নামক একটি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠা করেন যা ২০১০ সালে ফেসবুক কিনে নেয়। ২০১৪ সাল পর্যন্ত ফেসবুকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। আর দ্য ইনফরমেশন নামের অনলাইন মিডিয়া কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন জেসিকা। সেখানে প্রযুক্তি বিষয়ে রিপোর্টিং করতেন তিনি।


১৭. ট্রাভিস কালানিক এবং গ্যাবি হলজার্থ: ইউবার-এর প্রতিষ্ঠাতা সিইও ট্রাভিস। আর তার স্ত্রী গ্যাবি প্রতিষ্ঠা করেছেন 'শিপ' নামক একটি প্রতিষ্ঠান যা খুব কম সময়ের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় পণ্য প্রেরণের কাজটি করে থাকে।


১৮. ব্রায়ান এবং লিসা সুগার: ২০০৬ সালে পপ সঙ্গীতের ওয়েবসাইট পপসুগার প্রতিষ্ঠা করেন এই দম্পতি। লিসার ইচ্ছা পূরণ করতে ২০০৬ সালে ওয়েবসাইটটি তৈরি করেন ব্রায়ান। বর্তমানে এটি নামকরা একটি ব্র্যান্ড।


১৯. ফিল লিবিন এবং শর্মিলা বীরবল: ২০০৭ সালে ডিজিটাল রাইটিং প্ল্যাটফর্ম এভারনোট প্রতিষ্ঠা করেন ফিল। প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার মূল্যের এই প্রতিষ্ঠানে লিবিনের সহকারী হিসেবে কাজ করেন শর্মিলা।
Sahadat