EVM এর পূর্নরুপ Electronic Voting Machine। এটি ই-ভোটিং মেশিন নামেও পরিচিত । এর মাধ্যমে ব্যালট পেপার এ সিল দেয়ার পরিবর্তে ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে ভোট দেয়া যায় । এ যন্ত্রে প্রতিটি প্রার্থীর নাম ও তার প্রতীকের পাশে একটি করে সুইচ (যার নাম ভোট সুইচ) এবং যে কোনো একটি ভোট সুইচ চাপলেই ভোট দেয়া হয়ে যাবে । এটিতে ব্যাবহার হয় পেপার ব্যালট এর বদলে ইলেক্ট্রনিক ব্যালট । এর আরেক নাম ‘ডাইরেক্ট ইলেক্ট্রনিক মেশিন’ । সংক্ষেপে ডিআরই । ডিআরই ভোট ব্যবস্থা একটি ডাইরেক্ট রেকর্ডিং ইলেক্ট্রনিক (ডিআরই) ভোট মেশিন ভোট রেকর্ড করে মেকানিক্যাল বা ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল উপায়ে প্রদর্শিত হয় একটি ব্যলট ডিসপ্লে’তে । আর ভোট মেশিন চালু করে ভোটার নিজে । বোতাম টিপে বা টাচ-স্ক্রিনে স্পর্শ করে মেশিনটি চালু করা যায় । পাবলিক নেটওয়ার্ক ডিআরই ভোট ব্যবস্থা হচ্ছে এমন একটি নির্বাচন ব্যবস্থা, যেখানে ইলেক্ট্রনিক ব্যালট ব্যবহার করা হয় । এক্ষেত্রে ভোট ডাটা স্থানান্তর করা হয় ভোট গ্রহনের স্থান থেকে অন্য কোন স্থানে একটি পাবলিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে । ২০০৭ সালে ঢাকা অফিসার্স ক্লাবের কার্যকরী সংসদের নির্বাচনে এ পদ্ধতি প্রথম ব্যবহার করা হয় । ছোট নির্বাচনে সফলতার পর ২০০৭ সালে তত্বাবধায়ক সরকারের কাছে এ প্রকল্প জমা দেন উদ্ভাবক, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রফেসর ও আইআইসিটির পরিচালক ড. এস এম লুতফুল কবীর । ২০১০ সালের ১৭ জুন চট্রগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জামালখান ওয়ার্ডের ১৪টি কেন্দ্রে প্রথম EVM ব্যবহার করা হয় ।