আপনার যদি কোন সুস্পষ্ট কারন ছাড়া ক্রমাগত মাথাব্যথা, ক্লান্তি ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে তা নাক ডাকার কারনে হতে পারে।
তাছাড়া নাক ডাকা একটি বিরক্তিকর বিষয় ছাড়াও একটি মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যাও বটে। নাক ডাকার ফলে পরবর্তীতে নিদ্রাহীনতার সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
১৮ লক্ষ এর বেশির ভাগ মার্কিন নাগরিক নাক ডাকার সমস্যায় ভুক্তোভুগি। এর ফলে তাদের “ওএসএ- অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ এপ্নিয়া” অর্থাৎ নিদ্রাহীনতার রোগ হতে পারে। এর ফলে অজ্ঞাতভাবেই অনেক মানুষের মধ্যে নিদ্রাহীনতার সমস্যা দেখা যায়। ঘুমের মাঝেই তাদের শ্বাসনালী সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে বাধাপ্রাপ্ত হয়। এটা তখনি হয় যখন চোয়াল, গলা এবং জিহ্বা শ্বাস নেয়ার সময় বাধাপ্রাপ্ত হয়। পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন না থাকার কারনে এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। নিদ্রাহীনতার সমস্যা প্রতি রাতে প্রায় একশ বারের মতও হতে পারে।
“ওএসএ” এর সাথে যেসব রোগ সংযুক্ত হবার আশঙ্কা রয়েছে-
১. এসিড রিফ্লাক্স
২. রাতের বেলা ঘন ঘন মূত্রত্যাগ
৩. স্মৃতি ক্ষতি
৪. স্ট্রোক
৫. বিষণ্ণতা
৬. ডায়বেটিস
৭. হার্ট এ্যাটাক
যাদের বয়স ৩০ এর উপর হয়েছে, তাদের ঝুঁকি বেশি।
ওএসএ এর চিকিৎসা অনেক ব্যায়বহুল। ৫০০০ টাকার উপরে খরচ হতে পারে এবং এর চিকিৎসা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। সব থেকে বড় কথা এসব রোগের জন্য কোন বীমা করা যায় না।
পূর্ব ভার্জিনিয়া মেডিক্যাল স্কুল এ ঘুমের ঔষধ এর উপর সাম্প্রতিক এক গবেষণা চালানো হয়। তারা সকলকে চিন্সট্রাপ পরে ঘুমানোর পরামর্শ দেন। এতে ওএসএ এর সমস্যা অনেকাংশে দূর হবে।
মাই স্নোরিং সলিউশন নামক এক কোম্পানি এই চিন্সট্রাপটি তৈরি করেছেন। এই চিন্সট্রাপটি মুখ-মণ্ডলে লাগিয়ে নিতে হয়। এটি জিহ্বা ও নিচের চোয়ালকে সমর্থন করে শ্বাসনালীর বাধা প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি একটি উচ্চ কারিগরি, হালকা ও আরামদায়ক উপাদান থেকে তৈরি করা হয়েছে। এটি পরিধান করলে ঘুমের সময় মুখ বন্ধ থাকবে এবং হা না করে ঘুমানোর কারনে গলা শুকিয়ে যাবার সমস্যা হয় না। এতে শ্বাসনালীকে কোন বাঁধার সম্মুখীন হতে হয় না।
সামগ্রিক রিপোর্টে দেখা গেছে, চিন্সট্রাপটি পরিধান করার কারনে সকলেই এখন ভালভাবে ঘুমাতে পারছে। তাই যাদের এই সমস্যা রয়েছে তাদের মাই স্নোরিং সলিউশন চিন্সট্রাপটি পরিধান করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।–সূত্র: হাও লাইফ ওয়ার্কস।