মওলানা ভাসানী: স্রোতের বিরুদ্ধে যাত্রা

Author Topic: মওলানা ভাসানী: স্রোতের বিরুদ্ধে যাত্রা  (Read 1358 times)

Offline Lazminur Alam

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 337
  • Test
    • View Profile
পঞ্চাশের দশকে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সঙ্গে শহীদ সোহরাওয়ার্দীর খুব যে সমঝোতা ছিল, তা নয়। আগাগোড়াই এদের মধ্যে নরম ও গরম লাইনের বিভেদ বিদ্যমান ছিল। সোহরাওয়ার্দী যখন উদার পন্থায় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে জাতীয় কর্মসূচি পালন করতে তৎপর, ভাসানী তখন চেয়েছেন ঝাঁপিয়ে পড়তে সংগ্রামে। এ সময় ভাসানীর মধ্যে অনিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের পন্থা গ্রহণের প্রবণতা দেখা গেছে।

ইতিহাসের পাতায় দৃষ্টি নিবদ্ধ করলে দেখা যায়, সোহরাওয়ার্দী-ভাসানী দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে ওঠেছিল ১৯৫৭’র জানুয়ারি হতেই। ফেব্রুয়ারিতে তার বিস্ফোরণ ঘটে। ভাসানী ১৯৫৭’র ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারিতে টাঙ্গাইলের কাগমারীতে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশ ডাকেন। যা ‘কাগমারী সম্মেলন’নামে পরিচিত। সম্মেলনে আওয়ামী লীগে আশ্রয় নেয়া বামপন্থী তাত্ত্বিকরা অভিযোগ তোলেন যে, সোহরাওয়ার্দী সামরাজ্যবাদী নীতি সমর্থন করেছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার সংগঠনের নেতৃত্বে চলবে কিনা এটা স্পষ্ট করাই ছিলো এই সম্মেলনের মূখ্য উদ্দেশ্য। পররাষ্ট্রনীতির কারণেই করাচী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বি এম কুটি পদত্যাগ করেন। বাগদাদ চুক্তির বিরোধিতা করায় নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক ওসমানী পদত্যাগ করতে বাধ্য হন বলে প্রচার ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেনের সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী জাতিসংঘে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তোলেন এবং নিরাপত্তা পরিষদে গণভোটের মাধ্যমে কাশ্মীরের ভাগ্য নির্ধারণ করার প্রস্তাবের জন্য সোহরাওয়ার্দীকে জনগণ যথেষ্টই সমর্থন করেছিলেন। কিন্তু বাম তাত্ত্বিকদের অভিযোগ ছিল, যুক্তরাষ্ট্রর সঙ্গে দহরম-মহরম করেই সোহরাওয়ার্দী তার ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে চান। এসব কিছুর জবাব চাইতেই কাউন্সিল অধিবেশনের আয়োজন করা হয়েছিল।

কাগমারী সম্মেলনের পূর্বদিনে ৬ ফেব্রুয়ারি সন্তোষে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দীও যোগ দেন। পাকিস্তান-মার্কিন সামরিক চুক্তি বাতিল ও বাগদাদ চুক্তি সংস্থার সদস্যপদ প্রত্যাহার ইত্যাদি বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। এসব বিষয় নিয়ে দলের বাম তাত্ত্বিকরা একটি ‘বুকলেট’ও প্রচার করে। ৭ ফেব্রুয়ারি সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে মওলানা ভাসানী এসব চুক্তির সম্পর্কে ঘন্টাব্যাপী ভাষণে নিন্দা মন্দ করেন। উপস্থিত ৮৯৬ জন কাউন্সিলরদের বড় অংশ এতে বিব্রত হন। শেখ মুজিবকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরানোর সমস্ত আয়োজনই সম্পন্ন হয়েছিল। মূলত: বৈদেশিক নীতির প্রশ্নে বিতর্ক ছিল উছিলা মাত্র। ভাসানী চাইছিলেন তার দিবারাত্রির সঙ্গী এবং তাত্ত্বিক অলি আহাদকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করতে। কিন্তু সদস্যদের মনোভাব বুঝতে পেরে মওলানা ভাসানী দমে যেতে বাধ্য হন।

‘কাগমারী’ সম্মেলনে ভাসানী যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তা আওয়ামী লীগের কৌশল ও কর্মসূচির প্রকৃতি স্থির করে দিয়েছিল। যদিও পরবর্তীকালে মওলানা কেবল অন্য একটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বই দেননি বরং বেশীর ভাগ সময়ই তিনি আওয়ামী লীগকে তার সমর্থন জানাননি। যেমন, পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্বশাসনের দাবিকে ‘জনগণের বেঁচে থাকার’অধিকার বলে তিনি যে উল্লেখ করেন, তা ষাটের দশকের মাঝামাঝি থেকে এই দল কর্তৃক জনগণকে সংগঠিত করার উপায় হয়ে উঠলেও মওলানা আওয়ামী লীগের সমালোচনায় মুখর ছিলেন।

১৯৫৭ সালের ২৫-২৬ জুলাই ঢাকায় এক গণতান্ত্রিক কনভেনশনের আয়োজন করেন ভাসানী। এ কনভেনশনে ন্যাপ গঠিত হয়। সভাপতি হন ভাসানী। পরের কয়েক বছর এই দল পাকিস্তানের বামপন্থীদের ছত্রছায়া হিসেবে কাজ করে। আবুল মনসুর আহমদের সন্দেহ ছিল আওয়ামী লীগ ভাঙ্গন ও ন্যাপ গঠনের নেপথ্যে প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্জা জড়িত থাকতে পারেন। মির্জার ঘনিষ্ট ইস্পাহীনারা কাগমারী সম্মেলনের সংগঠক ভাসানীকে আর্থিক সহযোগিতা দেয়।

পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ক্ষমতায় তখন আওয়ামী লীগ ও রিপাবলিকান পার্টি। ভাসানী ৯ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকারের বৈদেশিক নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতি প্রদান করেন। দলের একটি অংশ ভাসানীকে সমর্থন করে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এটিএম শামসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক ছাত্র সভায় ভাসানীর বক্তব্যের কঠোর নিন্দা জানানো হয়। সভায় ভাসানীপন্থী ছাত্ররা হট্টোগোল করে। ১৩ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররা যখন সভা করছিলো, তখন পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী আতাউর রহমান খান ঘোষণা করলেন যে, ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে সরকার শহীদ মিনার নির্মাণ করবে। একই সঙ্গে ২১ ফেব্রুয়ারি সরকারি ছুটি ঘোষণা করে পরদিন বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। একই দিনে মওলানা আকরাম খাঁসহ আরো অনেকে কাগমারীতে ভাসানী প্রদত্ত ভাষণের প্রতিবাদ করেন। সোহরাওয়ার্দী এক বিবৃতিতে কাগমারী সম্পর্কে কোনো রকম অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হবার আহবান জানান। ষড়যন্ত্রকারীদের কারসাজি সম্পর্কে দলীয় সদস্যদেরও সাবধান করে দেন তিনি। (১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৭, দৈনিক আজাদী)।

ততোদিনে শেখ মুজিব দলের মূল ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছেন। প্রচার হলো যে, মূল দ্বন্দ্বটি মূলত: শেখ মুজিব ও ভাসানীর মধ্যে। বামরা ভাসানীর মাথা বিগড়ে দিয়েছে বুঝতে পেরে ১৬ ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিব সন্তোষ যান এবং ভাসানীর সঙ্গে দু’ঘণ্টা একান্ত বৈঠক করেন। দু’জনে একসঙ্গে মধ্যাহ্নভোজও সারেন। পরদিন সংবাদপত্রে যুক্তবিবৃতি প্রকাশ হয়। তারা সাধারণ মানুষের স্বার্থে আওয়ামী লীগকে গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেন। কিন্তু কদিন পরই উল্টে গেলেন ভাসানী। এক বিবৃতিতে বলেন তিনি, আগামী অক্টোবর মাসে আওয়ামী লীগের কমিটি সমূহের কার্যকলাপ গঠনতন্ত্র অনুযায়ী উত্তীর্ণ হবে এবং নয়া নির্বাচন হবে। এই ঘোষণায় শেখ মুজিবসহ অন্য নেতারা বিড়ম্বিত হন।

১৯৫৭’র ১৭ মার্চ ভাসানী কাগমারীতে বসেই পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেন। দলের সাধারণ সম্পাককে দেয়া পত্রে উল্লেখ করা হয, “আরজ এই যে, আমার শরীর খারাপ হইতেছে এবং কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এইবার খুলিতে হইবে; তদুপরি আওয়ামী লীগ কোয়ালিশন মন্ত্রিসভার লিডার সদস্যদের নিকট আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির প্রস্তাব ২১ দফা অনুসারে ওয়াদা অনুযায়ী জুয়া, ঘোড়দৌঁড়, বেশ্যাবৃত্তি ইত্যাদি হারাম কাজ বন্ধ করতে, সামাজিক ধর্মীয় বিবাহ বন্ধনের উপর ট্যাক্স ধার্য করা জনমত অনুযায়ী বাতিল করতে আবেদন জানাইয়া ব্যর্থ হইয়াছি। ভয়াবহ খাদ্য সংকটেরও কোনো প্রতিকার দেখিতেছিনা। ২১ দফার বাস্তবায়নে অর্থব্যয় যাহাতে খুব কমই হইবে তাহাও কার্যকরী করিবার নমুনা না দেখিয়া আমি আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ হইতে পদত্যাগ করিলাম।”

২১ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে শেখ মুজিব বলেন, মওলানা ভাসানী পদত্যাগ পত্র প্রত্যাহার না করলে তিনি নিজেও পদত্যাগ করবেন বলে একটি পত্রিকায় যে বিভ্রান্তিকর খবর ছাপা হয়েছে, তা সত্য নয়। ভাসানীর পদত্যাগ পত্রটি দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হবে। ৩০ মার্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সভা বসে। ৩৬ জন সদস্যর মধ্যে ৩০ জন হাজির হন। ভাসানী অনুপস্থিত থাকেন। সভায় দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় অলী আহাদকে তার উপস্থিতিতে সাময়িক বরখস্ত করা হয়। আর শেখ মুজিবকে দায়িত্ব দেয়া হয়, ভাসানীর সঙ্গে যোগাযোগ করে পদত্যাগ নিয়ে কথা বলার জন্য। ১৯৫৭ সালের ১ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় অনুষ্ঠিত এক জনসভায় ভাসানী সরাসরি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তার সঙ্গে ছিলেন অলি আহাদ, অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ, মহিউদ্দিন আহমদ, নুরুর রহমান (তখন তিনি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী)। ভাসানী আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্বশাসনের পক্ষে আদৌ আন্তরিক নয় বলেও মন্তব্য করেন।

জনসভার পর মওলানা ভাসানী উধাও হয়ে গেলেন। কেউই আর তাকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। সোহরাওয়ার্দী কেন্দ্র থেকে তাঁকে আলোচনার আমন্ত্রণ জানালেও সে খবর তাঁকে পৌঁছানো যায় নি। ভাসানী অজ্ঞাতস্থান থেকে টেলিগ্রাম পাঠান সোহরাওয়ার্দীকে যে তিনি তার শারীরিক অসুস্থতার কারণে  তাদের সঙ্গে দেখা করতে পারছেন না। তদুপরি সোহরাওয়ার্দী আবার তাকে আলোচনার আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু ভাসানী কোন জবাব দেন নি। বরং ২২ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলন করে তিনি বললেন, “আমি আর এদের সাথে একসঙ্গে কাজ করতে পারি না। যারা কথা দিয়ে কথা রাখে না, যারা ক্ষমতায় গিয়ে মূল আদর্শগুলো ভুলে যায়, যারা জনতার দাবীর সঙ্গে বেঈমানি করে, যারা নিজেদের রচিত সংবিধান নিজেরাই মানে না। সুতরাং আওয়ামী লীগ থেকে আমার পদত্যাগের ব্যাপারটি চূড়ান্ত। আমি কোনো অবস্থাতেই মত বদলাবো না।”

ভাসানীর এই ঘোষণায় স্তম্ভিত হন সোহরাওয়ার্দী, আতাউর রহমান খান ও শেখ মুজিব। কেননা ভাসানী লোক মারফত ১০ এপ্রিল জানিয়েছিলেন যে, তিনি প্রধানমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দীর সাথে আলাপ-আলোচনা করে তার পদত্যাগ পত্র প্রত্যাহার করে নেবেন। কয়েকটি শর্তের কথাও তিনি উল্লেখ করেছিলেন। যা মেটানো তেমন কঠিন ছিল না।

১৭ এপ্রিল দৈনিক আজাদ ‘মওলানা ভাসানীর সন্ধানলাভ’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, “ গতকল্য সন্ধ্যায় ঢাকায় প্রাপ্ত সংবাদে জানা গিয়েছে যে, সিরাজগঞ্জ মহকুমার সোহাগপুর গ্রামের নিকট যমুনা নদীতে একটি নৌকায় পূর্ব পাক আওয়ামী লীগের সভাপতি মওলানা ভাসানীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।

উল্লেখযোগ্য যে, মওলানা ভাসানীর সন্ধানের জন্য গত রবিবার সিরাজগঞ্জ মহকুমা কর্তৃপক্ষের নিকট ঢাকা হইতে রেডিও প্রোগ্রাম ঘোষণা করা হয়। প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখযোগ্য যে, প্রধানমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দীর সহিত আলাপ-আলোচনার পর মওলানা সাহেব পদত্যাগ পত্র প্রত্যাহার করিবেন বলিয়া কিছুদিন আগে প্রাদেশিক আওয়ামী লীগ ওয়ার্কিং কমিটি যে সংবাদ প্রকাশ করিয়াছিলেন, তাহার পরিপ্রেক্ষিতে ১৬ এপ্রিলের মধ্যে মওলানা সাহেবকে করাচী গমণের অনুরোধ জানাইয়া মুখ্যমন্ত্রী আতাউর রহমান খান ও শিল্পমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান সম্প্রতি ঢাকায় যে তার প্রেরণ করিয়াছেন, মওলানা সাহেবকে তাহা পৌঁছাইয়া দেয়ার জন্য আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক তাজউদ্দিন সোহাগপুর রওয়ানা হইয়া গিয়েছেন।” ভাসানী ঢাকায় এসে করাচী যাবার প্রস্তুতি নিলেও অলি আহাদ ও অধ্যাপক মোজাফফরের সঙ্গে আলোচনা করে যাবার আগমুহূর্তে মত পাল্টান। ২২ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগ চূড়ান্ত বলে ঘোষণা দেন। এর পর পরই সারাদেশে আওয়ামী লীগ দু’ভাগ হতে থাকে। শেখ মুজিব ভাসানীর সঙ্গে বৈঠক করেও ব্যর্থ হন ফেরাতে।

ভাসানী ১৮ ও ১৯ মে বগুড়ায় কৃষক সম্মেলনের আয়োজন করেন। এখানে তিনি আওয়ামী লীগকে ’সামরাজ্যবাদের পুতুল’ বলে আখ্যায়িত করেন। আওয়ামী লীগের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ’আওয়ামী লীগ মূলত: মন্ত্রীদের খপ্পরে। সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ আজ নিঃস্ব।’

১৯৫৭ সালের ১৩ ও ১৪ জুন অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে মওলানা ভাসানী উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন এবং হঠাৎ সভাস্থল ত্যাগ করেন। এর আগেই ভাসানী নয়া দল গঠনের প্রস্তুতি শুরু করেন কাউন্সিলে ভাসানীকে সভাপতি রেখেই নতুন কমিটি হয়। কিন্তু মওলানা আর দলে ফেরেন নি। অগত্যা ২ সেপ্টেম্বর আবদুর রশিদ তর্কবাগীশকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়। আর  ভাসানী ২৫ ও ২৬ জুলাই ঢাকায় অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র কনভেনশনে গঠন করলেন নয়া দল ন্যাপ। স্রোতের বিপরীতে শুরু করেন তার অনন্তযাত্রা।

Source: http://motamot.newsnextbd.com/mehedihasan/article.735.nn/
MD.LAZMINUR ALAM
|| BA (Hons) in English || || MBA in Marketing ||

Senior Student Counselor
Daffodil International University
Cell: 01713493051
E-mail: lazminur@daffodilvarsity.edu.bd
            lazminurat@yahoo.com
Web: www.daffodilvarsity.edu.bd

Offline mahmud_eee

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 591
  • Assistant Professor, EEE
    • View Profile
Md. Mahmudur Rahman
Assistant Professor, EEE
FE, DIU