কম কলেস্টেরল: মাশরুম খুব কম ক্যালোরি সম্পন্ন খাবার । এতে কোলেষ্টরল নেই, চর্বির পরিমাণ অত্যন্ত কম (২-৮%) কিন্তু শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ফ্যাটি এসিড ও লিনোলোয়িক এসিড রয়েছে।
কার্বোহাইড্রেট: মাশরুমের পরিমিত পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট ও যথেষ্ট আঁশ (৮-১০%) থাকে। এতে স্টার্চ নেই। শর্করার পরিমাণ কম বিধায় বহুমূত্র রোগীদের জন্য মাশরুম আদর্শ খাবার।
মিনারেলসের : মাশরুম মিনারেলসের ও একটি ভালো উৎস। এতে পটাশিয়াম, ফসফরাস, জিংক ও কপারের একটি আদর্শ পরিমাণ। যা মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় অধিকাংশ ভিটামিন এবং সব মিনারেলসের জোগান দিতে পারে।
সেলেনিয়াম: এটি কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ এবং ক্যান্সার এবং অন্যান্য রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।
পটাসিয়াম : মাশরুমে পটাসিয়াম, ইরিডেটিন, লোভাষ্টেটিন এবং এনটাডেনিন থাকায় রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে হৃদরোগের ঝুকি কমায় এবং উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজ: ফসফরাস, দস্তা, এবং ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালোরি, এবং সোডিয়াম।
মাশরুম সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও ঔষধি গুণসম্পন্ন এক ধরনের অভিজাত সবজি। বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন জাতের মাশুরুম চাষ হচ্ছে। মাশরুম দ্বারা জ্যাম, জেলি, আচার, ইত্যাদি তৈরি করা যায় । রুপ চর্চাতেও মাশরুমেরব্যবহার আছে । মুখের কাল দাগ দূর করা, মুখের রঙ উজ্জল করা, ত্বকের তৈলাক্ত ভাব
দূর করা, চুল পড়া রোধ করা ইত্যাদিতে পাউডার মাশরুম অত্যন্ত উপকারি। -সূত্র: মাশরুম এপ্রেক্সিশন।