সঠিক পরিমাণে খাবার না খাওয়া এবং দেহের পরিমিত ভিটামিনের চাহিদা পূরণ না হওয়ার কারণে শরীরে দেখা দেয় ভিটামিনের অভাব। স্বাদের কথা ভেবে যখন আমরা আমাদের খাদ্য তালিকা থেকে নানা ধরণের ভিটামিন ও মিনারেল জাতীয় খাবার বাদ দিয়ে দিই, যার প্রতিফল হিসেবে শরীরে ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হয় না এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় যার কারণে আমরা ভুগি নানা ধরণের রোগে। লক্ষণ বোঝা গেলে একটু হলেও প্রতিরোধ করা সম্ভব এই ভিটামিনের চাহিদা, কিন্তু যদি লক্ষণ টের না পাওয়া যায় তাহলে বাড়তেই থাকে সমস্যা। কিন্তু ভিটামিনের অভাব দেহে হলে অদ্ভুত ধরণের কিছু লক্ষণ দেখা যায় যার সাথে অনেকেই পরিচিত নন।
১) দেহের নানা অংশ অবশ হয়ে যাওয়া
দেহের নানা অংশে অবশবোধ হওয়া খুবই সাধারণ একটি লক্ষণ। অনেকসময় আমরা ভাবি একটানা একভাবে বসে থাকা কিংবা নার্ভের ওপর চাপ পড়ার কারণে এটি ঘটে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে ভিটামিন বি৯, বি৬ এবং বি১২ এর অভাব দেহে হলে এই লক্ষণটি দেখা দেয়। এছাড়াও ভিটামিনের অভাবের কারণে বিষণ্ণতা, রক্তস্বল্পতা, দুর্বলতা এবং হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার মতো লক্ষণও দেখা যায়।
ভিটামিনের অভাব পূরণঃ সামুদ্রিক মাছ, লাল চালের ভাত, বাদাম, ডিম, মুরগীর মাংস, কলা, ব্রকলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি এবং সবুজ শাক রাখুন খাদ্যতালিকায়।
২) লালচে ও আঁশ ওঠা ধরণের র্যা শ এবং অতিরিক্ত চুল পড়া
আমরা ধারণা করি মুখের ত্বকে লালচে ও আঁশ ওঠা ধরণের র্যা শ এবং অতিরিক্ত চুল পড়া যত্নের অভাব এবং কোনো কসমেটিকের জিনিস ত্বকের সাথে মানানসই না হওয়ার লক্ষণ। কিন্তু এটি কোনো ধরণের কেমিক্যালের প্রভাব নয় বা যত্নের অভাব নয়। এটি ভিটামিন বি৭ (বায়োটিন), ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে এর অভাবজনিত সমস্যার লক্ষণ।
ভিটামিনের অভাব পূরণঃ মাছ, ডিম, মাশরুম, ফুলকপি, বাদাম ও কলা রাখুন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়।
৩) ঠোঁটের কিনারে ফেটে যাওয়া
ঠোঁট ফাটা এবং ঠোঁটের কিনার ফাটা একই জাতীয় সমস্যা বলে ভুল করে থাকি আমরা। আমরা মনে করে ঠোঁট ফাটার মতোই ঠোঁটের কিনার ফাটা শীতকালের সমস্যা অথবা একটু পানিশূন্যতার লক্ষণ। কিন্তু এই সামান্য ঠোঁটের কিনার ফেটে যাওয়া ভিটামিন বি৩, বি২ ও বি১২ এবং আয়রন, জিংক ও দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গঠনকারী গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিনের অভাবের লক্ষণ।
ভিটামিনের অভাব পূরণঃ সামুদ্রিক মাছ, ডিম, মুরগীর মাংস, টমেটো, চীনাবাদাম, ডাল, দই, পনির, ঘি এবং ভিটামিন সি জাতীয় খাবার রাখুন খাদ্যতালিকায়।