আমাদের কি যখন তখন প্যারাসিটামল খাওয়া উচিত?

Author Topic: আমাদের কি যখন তখন প্যারাসিটামল খাওয়া উচিত?  (Read 1081 times)

Offline nmoon

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 234
  • Test
    • View Profile
বিশ্বের বেদনাদায়ক যে কোনও রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম ব্যাথা নিরাময়ক হিসেবে প্যারাসিটামল সবচেয়ে জনপ্রিয়। এটা এখন জ্বরে আক্রান্ত ব্যবহারকারীরা তাদের পছন্দ মতো সিরাপ হিসেবেও খেয়ে থাকে, কারন এটা শরীরের তাপমাত্রাকে কমিয়ে দেয়। তাই, ইহা সত্য হতে পারে, যেমনটা একটা বাতগ্রস্ত রোগ কাহিনী প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে সুপারিশ করেছে যে, ইহা যদি উচ্চ মাত্রায় দীর্ঘ সময় সেবন করা হয় তাহলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া এবং স্ট্রোক এর ঝুকি বাড়িয়ে দিতে পারে।

লেখক পর্যায়ক্রমে ১,৮৮৮ বিষয়ে গবেষনা এবং পর্যালোচনা করে পেয়েছেন যে ৮টি বিষয় তার অবস্থানে সঠিক আছে। তাদেরকে ঠিক এভাবে তুলনা করা যেতে পারে যেমনঃপ্রাপ্ত বয়স্ক অথবা বৃদ্ধ কোনও ব্যক্তি(০.৫গ্রাম-১গ্রাম থেকে ৪গ্রাম ১ দিনে)যে কিনা পরিমিত প্যারাসিটামল সেবন করে, তার সাথে যে কিনা কোনও ওষুধ সেবন করে না। আমেরিকাতে একটি মহিলা সেবিকাদের উপর পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যে তারা এক সপ্তাই ১৫ টি প্যারাসিটামল গ্রহন করেছিল এবং এর ফলে ৬৮% হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুকি বেড়েছে। সুতরাং, আমাদের কি প্যারাসিটামল সেবন করার ব্যাপারে সতর্ক হওয়া উচিত নয় কি?

বিভিন্ন দেশের এবং বিভিন্ন বিষয়ের দীর্ঘস্থায়ী ফলাফল এবং ফলাফল ছারা গবেষনাগুলোকে বিভক্ত করা হয়েছিল। আপনি যদি সব বিষয় না জানতে পারেন, যে কি কারনে কি হচ্ছে? তাহলে এর ফলাফল বিবেচনা করা যাবে না সঠিকভাবে। কিছু মানুষ যারা সর্বদা প্যারাসিটামলের উপর সর্বদা নির্ভরশীল তাদের ক্ষেত্রে হৃদরোগ এবং স্ট্রোক এর ঝুকি বাড়বে যেটা চিকিৎসার ক্ষেত্রে বলা হয়েছিল। লেখক বলেছে এক্ষেত্রে আরও গবেষনার প্রয়োজন।

প্যরাসিটামল আজকাল ড্রাগ হিসেবে অতিমাত্রায় সেবনের জন্য ব্যবহিত হচ্ছে, যেটা কিনা অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার যা কিনা তোমার মৃত্যুর খুব ভালো কারন-ইহা প্রতি বছর ৯০ এবং ১৫০ লোকের লিভারের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে মৃত্যুর কারন ঘটায়। এই লিভারের কার্যক্রম প্যরাসিটামলের কারনে কমে আসে, কিন্তু স্বাভাবিক পথ অতিরিক্ত লোড হয়, আর অন্যদিকে অন্য পথে অতিরিক্ত রাসায়নিক পদার্থ তৈরি করতে বাধা দেয়।

তবে এক্ষেত্রে আই রাসায়নিক পদার্থ যদি শরীরে সঠিকভাবে প্রতিরোধ করা না যায়, তখন প্যরাসিটামলের উপাদানগুলো লিভারের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। ২৪ ঘণ্টায় ১৫০ কিলোগ্রাম প্যরাসিটামল সেবন করলে লিভার নষ্ট হয়ে যায়। অতিমাত্রাই প্যরাসিটামল গ্রহন করলে নিদ্রাচ্ছন্ন ভাব অনুভুত হই না বরং ২৪ ঘণ্টায় খুব ভালো অনুভুত হয়।

সবশেষে বলা যায়, আমাদের যখন তখন জ্বর, যেকোনো ব্যাথা নিরাময়ের ক্ষেত্রে প্যরাসিটামল খাওয়ার অভ্যাস এখন থেকে তাগ করতে হবে। সূত্র: গার্ডিয়ান।

Offline fernaz

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 185
  • Test
    • View Profile
Excessive use of medicine is always harmful...........
Dr. Fernaz Narin Nur,
Assistant Professor,
Department of CSE.