« on: March 25, 2015, 01:47:19 PM »
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ইন্টারনেট সেবার মূল্যসীমা নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে। কারণ ইন্টারনেট সেবার মূল্য নির্ধারিত না থাকায় একই গতির সংযোগে গ্রাহকদের বিভিন্ন দাম দিতে হচ্ছে। পাশাপাশি অনুমোদনহীন অনেক প্রতিষ্ঠানও নিজেদের ইচ্ছেমতো দামে গ্রাহকের ইন্টারনেট সংযোগ দিচ্ছে। ফলে গ্রাহকের ভোগান্তির পাশাপাশি ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগও। এসব কারণেই বিটিআরসি ইন্টারনেট সেবার মূল্যসীমা নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে। বিটিআরসি সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিগত ৭ বছরে দেশে ব্যান্ডউইডথের চাহিদা বেড়েছে ১২ গুণ। ২০০৮ সালে এ চাহিদা ছিল ৭ দশমিক ৫ গিগাবিটস পার সেকেন্ড (জিবিপিএস)। ২০০৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৬, ২০১০ সালে ১৫ দশমিক ২ ও ২০১১ সালে ২২ দশমিক ৮৬ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ ব্যবহার হয়েছে। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১শ জিবিপিএসেরও বেশি। যদিও বিগত কয়েক বছরে দেশে কয়েক দফায় ব্যান্ডউইডথের দাম কমেছে। ২০০৮ সালে দেশে প্রতি মেগাবিটস পার সেকেন্ড (এমবিপিএস) ব্যান্ডউইডথের দাম ছিল ৭২ হাজার টাকা। গতবছরের এপ্রিলে বিটিসিএল তা মাত্র ২ হাজার ৮শ টাকা করে বিক্রির ঘোষণা দেয়। বর্তমানে ১ এমবিপিএস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২শ টাকায়।
সূত্র জানায়, দেশে ব্যান্ডউইডথের মূল্য হরাস, ইন্টারনেট সেবার গ্রাহক বাড়া এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসাবে সরকারি পর্যায়ে ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন কার্যক্রম চালু হয়েছে। ফলে দেশে ব্যান্ডউইডথের ব্যবহারও বেড়েছে। পাশাপাশি সেলফোন অপারেটরদের থ্রিজি সেবার গ্রাহক বৃদ্ধিও এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সিংহভাগই সেলফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। গত জানুয়ারি শেষে দেশে ইন্টারনেট সেবার সংযোগ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ২৭ লাখ ৬৬ হাজার। তার মধ্যে সেফফোন অপারেটরের ইন্টারনেট সংযোগ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ১৩ লাখ। আর ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার ও পাবলিক সুইচড টেলিফোন নেটওয়ার্ক অপারেটদের ইন্টারনেট সেবার আওতায় সংযোগ রয়েছে ১২ লাখ ৪০ হাজার। আর ওয়াইম্যাঙ্ অপারেটরদের নেটওয়ার্কে ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে ২ লাখ ২৩ হাজার।
সূত্র আরো জানায়, বর্তমানে বাংলাদেশ একমাত্র সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ হিসাবে সাউথ এশিয়া-মিডলইস্ট-ওয়েস্টার্ন ইউরোপ-ফোরের (সিমিউই-৪) সাথে যুক্ত রয়েছে। এ ক্যাবলের বাংলাদেশ অংশটির ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আছে বিএসসিসিএল। আর নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে ৬ ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবল প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। তবে ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি), ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে (আইজিডবিস্নউ) বা অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বিএসসিসিএল ও আইটিসিগুলো ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ করা হচ্ছে। মূলত এসব প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকেই ব্যান্ডউইডথ কিনছে আইএসপি, সেলফোন অপারেটর ও ওয়াইম্যাঙ্ অপারেটররা। আর গ্রাহক পর্যায়ে এ প্রতিষ্ঠানগুলোই সংযোগ প্রদান করছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সাইবার ক্যাফে ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (সিসিওএবি) সভাপতি এসএম জুলফিকার হায়দার জানান, বিটিসিএলের ইন্টারনেট সেবার মূল্যসীমা নির্ধারণের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে ইতিচাক। তাতে গ্রাহকদের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ থেকে লাইসেন্স নেয়া প্রকৃত ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো লাভবান হবে। তবে এক্ষেত্রে খাত সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে উদ্যোগ নিলেই ভালো হবে।Courtesy : Priyotech, BTRC
Logged
“Allahumma inni as'aluka 'Ilman naafi'an, wa rizqan tayyiban, wa 'amalan mutaqabbalan”
O Allah! I ask You for knowledge that is of benefit, a good provision and deeds that will be accepted. [Ibne Majah & Others]
.............................
Taslim Arefin
Assistant Professor
Dept. of ETE, FE
DIU