গরম-ধোঁয়া-ওঠা ভাত না হলে খেয়ে কি মন ভরে? কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন ভিন্ন কথা। শ্রীলঙ্কার একদল গবেষক দাবি করছেন, ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করা ভাতে ক্যালরির পরিমাণ কম। আর তাঁদের এই দাবিকে সমর্থন করছে ব্রিটিশ নিউট্রিশন সোসাইটি এবং আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি।
ব্যাখ্যাটা হলো, ভাত বা যেকোনো শস্যজাতীয় খাবারে যে শ্বেতসার বা শর্করাজাতীয় উপাদান রয়েছে, তা ঠান্ডা করার পর এর দ্রবণীয় অ্যামাইলোজ অণুতে হাইড্রোজেন বন্ধন তৈরি হয়। ফলে তা দানাদার হয়ে ওঠে এবং তুলনামূলক কম দ্রবণীয় শ্বেতসারে পরিণত হয়। কম দ্রবণীয় শ্বেতসার রক্তে কম শোষিত হয় এবং রক্তের শর্করা কম বাড়ায়। এর আগে যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন, গরম পাস্তার (নুডলস জাতীয়) চেয়ে ঠান্ডা পাস্তায় ক্যালরি কম। আর এখন শ্রীলঙ্কার গবেষকেরা বলছেন, সামান্য নারকেল তেলে সেদ্ধ করে ভাত কমপক্ষে ১২ ঘণ্টা রেফ্রিজারেটরে রেখে সেই ঠান্ডা ভাত খেলে ৬০ শতাংশ কম ক্যালরি খাওয়া সম্ভব। কিন্তু বাঙালির পক্ষে কি গরম গরম ভাতের স্বাদ উপেক্ষা করা সম্ভব হবে?
সূত্র: বিবিসি