বিশ্বের সবচেয়ে ছোট কম্পিউটার

Author Topic: বিশ্বের সবচেয়ে ছোট কম্পিউটার  (Read 1068 times)

Offline akhishipu

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 104
  • Test
    • View Profile
মাইক্রো মোটএক সময় যে কম্পিউটারের আকার হতো পুরো ঘরের সমান কিন্তু সেই কম্পিউটারেরই আকার এখন ছোট হতে হতে একেবারে সুচের ডগায় এসে ঠেকেছে! কম্পিউটার এখন মাত্র এক মিলিমিটার ঘনকের সমান হয়ে দাঁড়িয়েছে। খবর প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেটের।

মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা তৈরি করেছেন মাইক্রো মোট নামের স্বয়ংসম্পূর্ণ এই কম্পিউটার। প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে মিশিগান কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগ এই কম্পিউটার তৈরিতে কাজ করছে। বর্তমানে সব পণ্যের মধ্যেই ইন্টারনেট সংযোগ সুবিধা বা ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) বিষয়টি যত বড় হচ্ছে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত দলটি কম্পিউটারটির আকার তত ছোট করার কাজ করে যাচ্ছে। মাইক্রো মোট কম্পিউটারটি বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজ ও শিল্প খাতে ব্যবহার করা যাবে।

ক্যালিফোর্নিয়ার কম্পিউটার হিস্ট্রি মিউজিয়ামের জ্যেষ্ঠ কিউরেটর ড্যাগ স্পাইসার ইন্টারনেট অব থিংস সম্পর্কে বলেন, ‘আইওটি এমন একটি বিশ্ব সম্পর্কে ধারণা দেয় যখন প্রতিটি পরিচিত পণ্যের মধ্যে বুদ্ধিমত্তা থাকবে। প্রতিটি জিনিসের মধ্যে একদিন ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট থাকবে যাতে একটি নেটওয়ার্কের মধ্যে জিনিসগুলো পরস্পর যোগাযোগ করতে পারবে।’

মাইক্রো মোট কম্পিউটার দেখতে ক্ষুদ্র হলে কী হবে এটি ছবি তুলতে পারে, তাপমাত্রা ও চাপ মাপতে পারে। এই ক্ষুদ্র কম্পিউটারটি মানুষের শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে ঢুকিয়ে ইসিজি করা বা রক্তচাপ মাপার মতো কাজ করা যেতে পারে। এ ছাড়াও তেল শিল্পেও মাইক্রো মোট ব্যবহার করা যাবে। তেলকূপের মধ্যে এই কম্পিউটারের সাহায্যে নতুন তেলের উৎস বের করা সম্ভব হবে। এ ছাড়াও চাবি, ওয়ালেটের মতো যেসব জিনিস মাঝে মাঝে খুঁজে পাওয়া যায় না সেগুলোতে মাইক্রো মোট যুক্ত থাকলে তা খুঁজে বের করা যাবে।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, মাইক্রো মোটকে আরও কার্যকর করে তুলতে এর ব্যাটারির আকার আরও ছোট করতে তাঁরা কাজ করছেন। এই কম্পিউটারটিতে অবশ্য কোনো কিবোর্ড, মাউস বা ডিসপ্লে নেই। এই কম্পিউটারটির প্রোগ্রামিং ও চার্জ পদ্ধতি আলোক নির্ভর। হাই ফ্রিকোয়েন্সির ফ্ল্যাশ ব্যবহার করে কম্পিউটারে তথ্য প্রেরণ করা হয়। মাইক্রো মোট সেই তথ্য প্রসেসিং করে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির মাধ্যমে সেন্ট্রাল কম্পিউটারে পাঠায়।

গবেষকেরা মাইক্রো মোটের আকার আরও ছোট করে স্মার্ট ডাস্ট নামে বাজারে আনার পরিকল্পনা করছেন।