সান্তাহার রেলওয়ে জংশনে এলাম। দেখা হল এক শিশুর সাথে। ও স্টেশনে ভিক্ষে করে আর সেখানেই থাকে।
বছর নয়/ দশ হবে বয়স। মানুষের পা চেপে ধরে টাকা চাইছে। এক সময় আমার পা-ও চেপে ধরল। ভিক্ষা চাইল আমার কাছে। আমি ভিক্ষা না দিয়ে ওর সাথে কথা বলতে চাইলাম।
ও আমার কোনও কথার জবাব না দিয়ে, ‘দুটা টাকা দ্যান, দুটা টাকা দ্যান’ বলে যেতে থাকল।
আমার বুঝতে দেরি হল না, ও আমার কথায় মন দিচ্ছে না। তাই তাকে ট্রেনে আমার খাওয়ার জন্য কেনা এক প্যাকেট বিস্কুট দেই। ও খুশি হয়।
এবার ও জানাল- ওর নাম আজিজুল এবং স্টেশনের প্ল্যাটফর্মেই মায়ের সাথে থাকে।
ওর মা হাজরা বানুও পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে ভিক্ষা করেন। আর ওর বাবা থাকে ঢাকায়। নাম মুজিবর।
সে বলে, তার বাবা কোনও টাকা পয়সা দেয় না। খোঁজখবরও নেয় না।
ওকে দেখে আমার আগেই মনে হয়ে ছিল ও স্কুলে যায় না। তবুও জানতে চাই, ও স্কুলে যায় কি না। সে খুব সহজেই বলে- ‘না’।
স্কুলে যেতে চায় কিনা জিজ্ঞেস করলে বলে, “কি করে যাব? আমি তো স্কুলই দেখি নাই।”