ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর কল্পকাহিনীর জগতে তুমুল আলোড়ন নিয়ে এসেছিল বায়োনিক ম্যানের ধারণা। কিছুটা মানবিক আর কিছুটা যন্ত্রের সমন্বয়ে ভবিষ্যৎ মানবজীবন আর তাদের চিন্তা-চেতনাকে বিজ্ঞান গল্পের আলোকে কাটাছেঁড়া করার চেষ্টা করেছেন লেখকরা। প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান বিকাশ সেই ধারণাকে এক শতকের মধ্যেই পাদপ্রদীপের আলোয় নিয়ে আসছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, তাঁরা এমন এক ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন, যা মানবদেহে ব্যথার অনুভূতিই কমিয়ে দেবে। 'ইয়ন পাম্প' নামের এ যন্ত্রাংশটি আবিষ্কারের দাবি করছেন সুইডেনের লিংকোপেইন বিশ্ববিদ্যালয় ও কেরোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, ইয়ন পাম্প ব্যথার উৎসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্নায়ুর মধ্যে এমনভাবে কাজ করবে, যেন তা মস্তিষ্কে ব্যথার অনুভূতি পাঠাতে বাধা দেয়। অর্থাৎ ব্যথার অনুভূতি নাশ করতে ভূমিকা রাখাই হবে ইয়ন পাম্পের কাজ। ছোট হওয়ায় শরীরের মধ্যে ইয়ন পাম্পটি সহজেই স্থাপন করা সম্ভব হবে।
একই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এর আগে ইঁদুরের দেহে ব্যথা কমানোর যন্ত্র আবিষ্কার করে সুখ্যাতি অর্জন করেছেন। তখন থেকেই তাঁদের লক্ষ্য ছিল, মানবদেহে ব্যথা কমানোর প্রযুক্তি উদ্ভাবনে। তবে ইয়ন পাম্প এখনই বাজারজাত করা শুরু হবে না। লিংকোপেইন বিশ্ববিদ্যালয় ও কেরোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা বলেছেন, যন্ত্রাংশটি নিয়ে আরো কাজ করতে হবে। সব ঠিক থাকলে পাঁচ থেকে ১০ বছরের মধ্যেই সাধারণের জন্য ব্যথানাশক এ যন্ত্রটি উন্মোচিত করা হবে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
Source://www.kalerkantho.com/print-edition/last-page/2015/05/20/223982#sthash.MfSAjo6m.dpuf