শিশুশ্রমের প্রধান কারণ হচ্ছে দারিদ্র্য। শিশুদের সোনালি ভবিষ্যৎকে দারিদ্র্য ঠেলে দেয় অন্ধকারে। তাদের স্বপ্নকে গ্রাস করে ফেলে অভাব অনটন।
বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার মত জামালপুরেও প্রতিনিয়ত বেড়ে চলছে শিশুশ্রম। জামালপুরের প্রত্যেকটি উপজেলায়, ইউনিয়নে এমনকি বাজারের দোকানপাটেও শিশুদেরকে কাজ করতে দেখা যায়।
অভাবের নির্মম কশাঘাতে তাদেরকে কাজে নামতে হচ্ছে। এদেরকে দেখছে না সমাজ, দেখছে না দেশ। যদিও বাংলাদেশে শিশুশ্রম নিরসনে কতগুলো আইন প্রচলিত আছে, তবে আইনগুলোর যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে না। যার ফলে দিন দিন শিশুশ্রম বেড়েই চলছে।
আমাদের দেশে অনেক ক্ষেত্রেই উন্নয়ন হচ্ছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু পাল্টাচ্ছে না গরীব শিশুদের নিজের জীবনের কাছে হেরে যাওয়ার রোজকার গল্পটা।
বাংলাদেশে শিশুশ্রম একদিনে নিরসন করা সম্ভব নয়। এজন্য সরকারকে স্বল্পমেয়াদী পদক্ষেপ নিতে হবে। যেহেতু কাজ না করলে ওদের খাবার জুটবে না তাই তারা দিনে কাজ করবে এবং রাতে পড়বে। এজন্য সরকারকে নৈশ বিদ্যালয় বানাতে হবে। আর শিশুশ্রমের ক্ষেত্রে আইনগুলোর যথাযথ প্রয়োগ করলেও এই সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে।