বিশ্বে স্কুলে পড়াশোনার মান নির্ণয়ের সবচেয়ে বড় তালিকায় এশিয়ার দেশগুলো প্রথম পাঁচটি স্থানে এসেছে, আর আফ্রিকার দেশগুলো এসেছে সবচেয়ে নিচে।
সিঙ্গাপুর তালিকার শীর্ষে রয়েছে, তারপর হংকং। ঘানা তালিকার শেষ স্থানে।
ইউরোপের যেসব দেশের স্কুলগুলো সবচেয়ে ভাল ফল করছে তাদের মধ্যে অন্যতম ব্রিটেন তালিকার ২০তম স্থানে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এসেছে ২৮তম স্থানে।
ইউরোপে সহযোগিতা এবং উন্নয়ন সংস্থা ওইসিডি বলছে, ৭৬টি দেশের স্কুলের ফলাফলে উপর ভিত্তি করে তৈরি এই তালিকা শিক্ষা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মধ্যে যোগসূত্র প্রমাণ করেছে।
ওইসিডি-র শিক্ষা বিষয়ক পরিচালক এ্যান্ড্রেয়াস স্লাইশার বলেন, এই প্রথমবার আমরা প্রকৃত অর্থে বিশ্ব শিক্ষার গুণগত মানের একটি তালিকা তৈরি করেছি।
তিনি বলেন, এই তালিকার উদ্দেশ্য হলো শিক্ষায় এগিয়ে থাকা দেশগুলোর সাথে ধনী-গরীব সব দেশ যাতে নিজেদের তুলনা করতে পারে, যাতে তারা নিজেদের সামর্থ্য এবং সম্ভাবনা সম্পর্কে আরো সচেতন হয়।
তিনি আরও বলেন, “এর ফলে তারা দেখতে পারবে স্কুল শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি তাদের জন্য কী ধরনের অর্থনৈতিক ফল দিতে পারে।”
গবেষণায় দেখা গেছে, ব্রিটেনে প্রতি পাঁচজন স্কুলছাত্রের মধ্যে একজন মৌলিক শিক্ষা অর্জন না করেই স্কুল শেষ করে।
ওইসিডি-র মতে, ব্রিটেনে শিক্ষার মান বৃদ্ধি করলে অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রবৃদ্ধি সম্ভব।
ওইসিডি-র এই তালিকা গণিত এবং বিজ্ঞান বিষয়ে ফলাফলের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। ইতিপূর্বে ওইসিডি-র তালিকা শুধুমাত্র উন্নত দেশগুলো নিয়ে তৈরি করা হতো, এবার বিশ্বের অন্যান্য দেশকেও এই তালিকায় আনা হয়েছে।
বিশ্ব শিক্ষার মানের এই ‘লীগ তালিকা’ পৃথিবীর এক-তৃতীয়াংশ দেশ নিয়ে করা হয়েছে। এখানে দেখা যাচ্ছে ইরান, দক্ষিণ আফ্রিকা, পেরু এবং থাইল্যান্ড আন্তর্জাতিক মানের কোন পর্যায়ে রয়েছে।
তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের তুলনামূলক খারাপ ফলাফলের প্রতিফলন ঘটেছে। তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র শুধু যে অনেক ইউরোপীয় দেশের নিচে চলে গেছে তাই নয়, ভিয়েতনাম-এর অবস্থান এখন আমেরিকার উপরে।
ওইসিডি-র তালিকা কয়েকটি আন্তর্জাতিক গবেষণার ফলাফল একত্র করে তৈরি করা হয়েছে, যেখানে উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকে একই মাপকাঠিতে বিচার করা হয়েছে।
তালিকার প্রথম পাঁচটি স্থানে আছে এশিয়ার দেশ – সিঙ্গাপুর, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান এবং জাপান।
তালিকায় ৭৬টি দেশের মধ্যে শেষের পাঁচটি স্থানে আছে ওমান, মরক্কো, হন্ডুরাস, দক্ষিণ আফ্রিকা আর ঘানা।