ক্রিকেট ইতিহাসে অনন্য এক রেকর্ড গড়েছেন ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। রেকর্ডটি এমননি এক রেকর্ড, যা ক্রিকেট ইতিহাসে কেউ করে দেখাতে পারেনি। যা কিনা ক্রিকেট ইতিহাসে শুধুমাত্র বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানই করে দেখালেন। ভারতের বিপক্ষে চলতি টেস্টের আগে রেকর্ডটি গড়তে তামিমের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৭ রানের।
শনিবার ফতুল্লা টেস্টের চতুর্থ দিনে ভারত ৪৬২ রান করে তাদের প্রথম ইনিংস ডিক্লেয়ার করলে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ পায়। ফলে তামিমসহ ভক্তদের অপেক্ষার অবসান হয়, নতুন এই মাইলফলক স্পর্শ করার।
লং লেগে ইশান্ত শর্মার বলে ২ রান নিয়ে নতুন এই মাইলফলকে পৌঁছান তামিম ইকবাল। তাতে দুই ফরম্যাটের ক্রিকেটে সব কিছুতেই সবার উপরে তামিম। শেষ পর্যন্ত তামিম ইকবাল ২১ বলে ১৯ রান করে অশ্বিনের বলে লাইন মিস করে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হয়েছেন। তামিমের বর্তমান রান সংখ্যা ৩০৩৯। অবশ্য তার আগেই তামিম এই মাইলফলক স্পর্শ করেছেন।
তামিম দেশের হয়ে টেস্ট এবং ওয়ানডে এই ২ ফরম্যাটের ক্রিকেটে ৬টি জায়গায় সর্বোচ্চ আসনে বসেছেন শনিবার। এর আগে ২ ফরম্যাটের ক্রিকেটে (টেস্ট ও ওয়ানডে) পাঁচ জায়গায় (টেস্ট ও ওয়ানডেতে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস, টেস্ট ও ওয়ানডেতে সর্বাধিক সেঞ্চুরি এবং ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান) শীর্ষে তামিমের নাম। শুধু টেস্টের সর্বোচ্চ রানের ক্ষেত্রে হাবিবুল বাশারের চেয়ে পিছিয়ে ছিলেন এই ওপেনার। টেস্টে এখনও হাবিবুল বাশার (৩০২৬ রান)। শনিবার ইনিংস শুরুর আগে তার প্রয়োজন ছিল ৭ রানের। এটাকে টপকে তামিম এখন ২ ফরম্যাটের ক্রিকেটে বাংলাদেশের শুধু নয়; বিশ্ব ক্রিকেটে নতুন নজির স্থাপন করেছেন।
এর আগে তামিমের নামের পাশে লেখা হয়েছে বাংলাদেশের পক্ষে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান (৪৪৩৭), টেস্টে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি (৭টি), ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি (৬টি), টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংস (২০৬) এবং ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ইনিংসের (১৫৪) রেকর্ড। শুধু তাই নয়, টেস্টে সবচেয়ে বেশি ছ্ক্কার রেকর্ডটিও তামিমের। তামিম (২৭টি) ছক্কা মেরে সর্বোচ্চ ছক্কার তালিকায় রয়েছেন।
ক্রিকেটের ইতিহাসে এমন নজির শচিন টেন্ডুলকার কিংবা রিকি পন্টিংদেরও নেই। এক্ষেত্রে তামিমের সবচেয়ে কাছাকাছি আছেন শচিন এবং পন্টিং। দুজনই নিজ নিজ দলের পক্ষে টেস্ট-ওয়ানডের সর্বোচ্চ রানের মালিক, টেস্ট-ওয়ানডের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিরও মালিক। তবে নিজেদের দলের হয়ে টেস্ট-ওয়ানডের সর্বোচ্চ ইনিংস দুটি শচিন এবং পন্টিং নিজেদের নামের পাশে লেখাতে পারেননি।