কোপা আমেরিকায় শুভ সূচনা করেছে নেইমারের ব্রাজিল। চিলিতে অনুষ্ঠিত নিজস্ব প্রথম ম্যাচে ২-১ গোলে তারা হারিয়েছে পেরুকে। এক গোলে পিছিয়েও নেইমারের গোলে তারা সমতা ফেরায়। তারপর তার পাস থেকেই ব্রাজিল জয়সূচক গোলটি করে।
শুরু থেকেই দুই দলের আক্রমণ, পাল্টা-আক্রমণের গতিময় প্রদর্শনী একটি দারুণ ম্যাচ হয়ে ওঠে এটি। খেলার তিন মিনিটের মাথায় পেরুর কুয়েভার গোলটি ব্রাজিল সমর্থকদের চুপ করিযে দেয়। তবে তা কিছুক্ষণের জন্যই। দুই মিনিট পরই ম্যাচে সমতা আনেন ব্রাজিলের প্রাণ ভোমরা নেইমার।
এরপর দুই দলই ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখে। প্রথমার্ধ শেষ হয় এভাবেই।
ম্যাচের শুরু থেকেই খেলোয়াদের শরীরি ভাষা ছিল বেশ আক্রমণাত্মক। দ্বিতীয়ার্ধেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। প্রথম কয়েক মিনিট পেরু কয়েকটি আক্রমণ করলেও ব্রাজিলের রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় সেগুলো ভেস্তে যায়। ম্যাচের ৫২ মিনিটে পেরুর ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেয়া নেইমারের একটি জোরালো শট বারে লেগে ফিরে আসে। এরপর হঠাৎ করেই যেন আরও চাঙ্গা হয়ে ওঠে ব্রাজিল। নেইমারদের মূহুর্মূহু আক্রমণে পরের কয়েক মিনিট বল ছিল পেরুর অর্ধেই।মাঝে মাঝে পেরু ঝটিকা পাল্টা আক্রমণ চালালেও ব্রাজিলের রক্ষণভাগের দেয়াল পার করতে পারেননি সানচেজরা।
খেলার ৬৮ মিনিটে ডি-বক্সের ভেতরে নেওয়া ব্রাজিলের উইলিয়ানের জোরালো শট ঠেকিয়ে দেন পেরুর গোলরক্ষক পেড্রো গ্যালিজ। এরপর ৭৫ মিনিটের মাথায়, গোল করার চমৎকার একটি সুযোগ হারান নেইমার। প্রায় মাঝমাঠ থেকে বল পায়ে নিয়ে দারুন ড্রিবলিংয়ে এগিয়ে যান নেইমার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় গোলের দেখা পাননি নেইমার। ৮৯ মিনিটে আবারও সুযোগ পেয়েছিলেন।
কিন্তু ব্রাজিলের জয়সূচক গোলে নেইমারের অবদান থাকবেনা, এমনটা সাম্প্রতিককালে বিরল। অতিরিক্ত সময়ের তিন মিনিটের মাথায় নেইমারের ডিফেন্স চেরা পাস থেকে গোল করে, দাঁতে নখ কাটতে থাকা ব্রাজিল সমর্থকদের স্বস্তির উল্লাসের উপলক্ষ এনে দেন ৭ নম্বর জার্সির ডগলাস কস্তা।