রোজায় কী খাবেন কী খাবেন না

Author Topic: রোজায় কী খাবেন কী খাবেন না  (Read 799 times)

Offline imran986

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • If you don't try, Allah will not help you too
    • View Profile
শুরু হতে যাচ্ছে। সিয়াম সাধনার মাস রমজান। রমজান মাসে সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতার গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে রোজা ভেঙে থাকেন ঈমানদার মুসলমানেরা। চিকিৎসাবিজ্ঞান মতে, শরীরের ওপর রোজার স্বাস্থ্য সুবিধার বহুবিধ দিক রয়েছে। এর মধ্যে পাকস্থলীর ব্যথা, উচ্চ রক্তচাপ, অ্যাজমা, লিভারের অসুখ প্রভৃতির ক্ষেত্রে রোজা খুবই কার্যকর ভূমিকা রেখে থাকে।

চিকিৎসকদের মতে, নির্দিষ্ট একটা সময় না খেয়ে থাকার ফলে শরীরের পুরনো কোষকলার ক্ষয় হওয়াকে দ্রুত করে। ফলে ওই স্থানে নতুনভাবে সঠিক পুষ্টির মাধ্যমে নতুন কোষকলা তৈরি হয়। এই প্রক্রিয়াকে অনেক বিজ্ঞানী তারুণ্য এবং দীর্ঘ জীবনের একটি কার্যকর পদ্ধতি বলে মনে করেন। বার্ধক্যগত অসুস্থতা প্রতিরোধে রোজা বা উপস থাকা একটি কার্যকর পদ্ধতি। তবে এর জন্য একটি স্বাস্থ্যসম্মত নিয়মের মধ্যে থাকাটা খুব জরুরি।

এর জন্য খাদ্য তালিকায় খুব বেশি পরিবর্তন আনার প্রয়োজন নেই। যত সাধারণ ও স্বাভাবিক খাদ্য তালিকাভুক্ত করা যায় ততই ভালো। এর জন্য ভেবেচিন্তে খাদ্য তালিকা তৈরি করতে হবে।

খাদ্য তালিকায় আঁশজাতীয় খাবার বেশি রাখুন। চাল, ডাল, ভুট্টা, শিম, বরবটি, পটল, ঢেড়স এ জাতীয় খাবারে প্রচুর আঁশ রয়েছে। তাই এসব খাবার খাদ্য তালিকায় রাখুন। খাদ্য তালিকা তৈরি করার সময় ভারসাম্যপূর্ণ বা ব্যালেন্স ডায়েট বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। কারণ খাবারের পরিমাণ কম হলেও তা যদি ভারসাম্যপূর্ণ, পুষ্টিগুণসম্পন্ন হয় তবে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ব্যাঘাত ঘটবে না। রঙিন শাকসবজি, ফল, দুধ ও দুগ্ধজাতীয় খাবার, প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাদ্য তালিকায় রাখুন।

সেহরিতে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার রাখুন যাতে দীর্ঘ সময় রক্তে খাদ্য উপাদান থাকবে এবং ক্ষুধা কম লাগবে। এ ক্ষেত্রে হালিম হতে পারে একটি আদর্শ খাবার। এর মধ্যে সুগার, ফাইবার, প্রোটিন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম প্রভৃতি থাকে। খেজুর খুবই উচ্চপর্যায়ের সুগার, কার্বোহাইড্রেটর উৎস। দ্রুত কর্মক্ষম হয়ে উঠতে সাহায্য করবে। সেই সাথে বেশি করে তরলজাতীয় খাবার খান।

যেসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে
 ভাজাপোড়া ও চর্বিযুক্ত খাবার
 অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার
 অতিভোজন ও ওভার ইটিং করবেন না। বিশেষ করে সেহরিতে
 সেহরিতে বেশি চা বা কফি না খাওয়া। এতে শরীরে পানির শোষণ ক্ষমতা বেড়ে যায়। তাই চা বা কফি কম খান।
...........................
Md. Emran Hossain
Coordination Officer
Department of Nutrition and Food Engineering (NFE)
Daffodil International University