বাড়তি ওজনের ৬ ধরন, আপনি কোনটি?

Author Topic: বাড়তি ওজনের ৬ ধরন, আপনি কোনটি?  (Read 918 times)

Offline Shah Alam Kabir Pramanik

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 542
  • Test
    • View Profile
বাড়তি ওজনের ৬ ধরন, আপনি কোনটি?
২৬ জুলাই ২০১৫, ১৮:১৫
শাশ্বতী মাথিন
         
খাদ্যাভ্যাসের কারণে ওজনাধিক্য হয়। ছবি : বিউটি হেলথ পেজ বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তায় থাকেন অনেকে। ওজনাধিক্য বিভিন্ন রোগের কারণে হয়। কেবল খাদ্যাভ্যাসই নয়, বিভিন্ন কারণে ওজন বাড়ে। বিজ্ঞান বলছে, ছয় ধরনের ওজানাধিক্য হয়। বিউটি হেলথ পেজ প্রকাশ করেছে এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন।
দেখুন আপনি কোন দলে পড়েন এবং কীভাবে সমস্যার সমাধান করবেন। 

১. খাবারের ওজনাধিক্য
খাবারের জন্য ওজন বাড়ে, এটা এখন প্রায় সবাই জানেন। মিষ্টিজাতীয় খাবার গ্রহণের কারণে ওজন তাড়াতাড়ি বাড়ে। ওজন কমাতে চাইলে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা দরকার এবং অন্তত প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটা প্রয়োজন। 
২. স্নায়বিক চাপের কারণে ওজনাধিক্য
মানসিক চাপের কারণে মানুষ স্নায়বিক চাপের মধ্যে পড়ে। আর এর ফলে মানুষের মনে জন্ম নেয় উদ্বেগ ও বিষণ্ণতা। এই ধরনের মানুষ ঘনঘন মিষ্টি খায়। আর মিষ্টি খেলে দ্রুত ওজন বাড়ে। বিষণ্ণতা দূর করুন এবং মিষ্টি খাওয়া বন্ধ করুন।
৩. হরমোনজনিত কারণে ওজনাধিক্য
হরমোনের ভারস্যাম্য ঠিক না থাকলে অনেক সময় ওজনাধিক্য হয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এর জন্য অবশ্যই ধূমপান, বেশিক্ষণ বসে থাকা এবং মদ্যপান ত্যাগ করা জরুরি। পাশাপাশি ব্যায়াম করা প্রয়োজন।
৪. চর্বিজমাট সংক্রান্ত ওজনাধিক্য
এই ধরনের লোকের পাকস্থলী এমনভাবে স্ফীত হয়, মনে হয় যেন বেলুনের মতো। এদের দেহের সব চর্বি যেন শরীরের এই অংশেই জমে। যারা বেশি মদ্যপান করে এবং যাদের শ্বাসের সমস্যা রয়েছে তাদের এই ধরনের সমস্যা হয়।
৫. বংশগত স্থুলতা
ওজন অনেক সময় বংশগত কারণেও হয়। এটা ঘটতে পারে গর্ভাবস্থায় এবং যাদের পা স্ফীত তাদের বেলায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সিঁড়ি বাওয়া এবং দৌড়ানো এর ব্যায়াম হতে পারে। তবে গর্ভাবস্থায় যে কোনো ব্যায়ামের ক্ষেত্রে ফিটনেস বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
৬. নিষ্ক্রিয়তার জন্য ওজনাধিক্য
যাঁরা সারা দিন খুব একটা কায়িক পরিশ্রম করেন না, তাঁদের এ ধরনের ওজনাধিক্য হতে পারে। যেমন ডেস্ক জব ধরনের কাজ, যাঁদের প্রায় সারা দিনই বসে থাকতে হয়, মস্তিষ্কের কাজটা বেশি হয়, শরীরের চেয়ে। নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধান সম্ভব। ব্যায়ামের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করা গেলে স্থূলতা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।