খিচুড়ি ও মিষ্টি।
যারা ডায়েট করছেন বা স্বাস্থ্য সচেতন অনেকেই আজকাল এটা খেয়ে থাকেন। তবে সবসময় একভাবে বানিয়ে খেতে তেমন ভালো লাগে না। তাই ওটস দিয়ে খিচুড়ি আর মিষ্টি খাবার তৈরির রেসিপি দিয়েছেন সামিয়া রহমান।
ওটসের খিচুড়ি
উপকরণ: ওটস দেড় কাপ। মুগডাল ৩ টেবিল-চামচ। মসুর ডাল ৩ টেবিল-চামচ। মুরগির মাংস টুকরা করা (হাড় ছাড়া আর পরিমাণ ইচ্ছা মতো)। গাজর, ছোট আলু, বাঁধাকপি, ফুলকপি, বরবটি, ক্যাপসিকাম সব মিলিয়ে ১ কাপ অথবা ইচ্ছামতো যে কোনো সবজি নিতে পারেন। কাঁচামরিচের কুচি ইচ্ছা মতো। টমেটোকুচি ১টি। পেঁয়াজকুচি ১টি। ছোট রসুনকুচি ২ কোয়া। জিরাগুঁড়া সামান্য।হলুদগুঁড়া সামান্য। ধনেগুঁড়া সামান্য। লবণ স্বাদমতো। তেল ১ টেবিল-চামচ। পানি ২ কাপ অথবা প্রয়োজন মতো। ধনেপাতার কুচি ইচ্ছা মতো।
পদ্ধতি: প্রথমে ওটস ভেজে নিন। প্যানে তেল দিয়ে মুরগির মাংস ভাজা ভাজা করে পেঁয়াজকুচি ও রসুনকুচি দিয়ে ভাজুন। মাংস একটু নরম হলে সবজি দিয়ে সব গুঁড়ামসলা আর লবণ দিয়ে ভাজুন।
এবার ডালগুলো দিয়ে পানিসহ ঢেকে রান্না করতে থাকুন। সবকিছু আধা সিদ্ধ হলে ভাজা ওটস আর কাঁচামরিচ দিয়ে ভালো করে নেড়ে মিশিয়ে দিন। আবার ঢাকনা দিয়ে রান্না হতে দিন। পানি শুকিয়ে ভাজা ভাজা হলে ধনেপাতার কুচি ছিটিয়ে নামিয়ে ফেলুন।
ওটসের পায়েস।
উপকরণ: ওটস ২ টেবিল-চামচ। তরল দুধ ১ কাপ। নন ফ্যাট দই ১ টেবিল চামচ। তোকমা ১ চা-চামচ। পাকাআম, স্ট্রবেরি কুচি করা আধা কাপ। চিনি ১ চা-চামচ (চিনির পরিবর্তে মধু অথবা লো ক্যালোরিযুক্ত চিনি দিতে পারেন)। শুকনা ফল, বাদাম ও কিশমিশ।
পদ্ধতি
সবগুলো উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে ফ্রিজে রাখুন। অন্তত তিন ঘণ্টা অথবা সারারাত রেখে সকালে খেতে পারেন বা যে কোনো সময় ঠাণ্ডা হলে খাবেন।
Source:http://bangla.bdnews24.com/lifestyle/article973689.bdnews