আমরা জানি যে, সফল ব্যক্তিরা খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং বিশ্বজয় সম্পর্কে চিন্তা করে যখন পৃথিবীর বাকি মানুষেরা সকালের কফির স্বাদ নিতে থাকে। কিন্তু তারা সারাদিন কি কাজ করে থাকে তা আমরা জানি না। তবে রাতে শোবার আগে তারা কি করে? জানতে চান এই গোপন তথ্য? তারা পরবর্তী দিন যেন আরও সুন্দর করতে পারে সে প্রত্যয় নিয়ে চিন্তা করে। যে কাজ গুলো করতে তারা অভ্যস্ত-
# এক ঘণ্টা বই পড়া
মাইক্রোসফট এর মালিক বিল গেটস প্রত্যক রাতে ঘুমাতে যাবার আগে এক ঘণ্টা বর্তমান ইভেন্ট ও রাজনীতির উপর লিখা বই পরেন। বই পড়ার কারনে জ্ঞান বৃদ্ধি পায়। এর ফলে স্ট্রেস কমে ও মেধা বৃদ্ধি পায়। ২০০৯ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেসে ৬ মিনিট বই পড়লে সারাদিনের ৬৮% স্ট্রেস কমে যায়। প্রতিদিন বই পড়ার অভ্যাস করলে স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো হয়।
# অসংযুক্ত
আরিআন্না হাফিংটন তার মাথায় আঘাত পাবার পর থেকে রাতে ঘুমাবার আগে তার ফোন অন্য কক্ষে রেখে আসে। যাতে তার ঘুমে কোন সমস্যা না হয়। বিজ্ঞানীদের মতে, মোবাইলের লাইট ও আওয়াজ আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশের জন্য খারাপ হতে পারে। এতে আমাদের ব্রাইন এর সমস্যা হতে পারে।
# হাটা
বাফার এর সিইও ঘুমাতে যাবার আগে হাঁটাহাঁটি করেন। এতে তার সারাদিনের অফিসের চিন্তা দূর হয় এবং তিনি আসতে আসতে ক্লান্তিবোধ করেন।
একজন ব্যস্ত মানুষের জন্য সারাদিনের কাজের পর রাতে রুটিন করে প্রতিদিন হাটা একটি ভালো বিষয়। এতে তার সারাদিনের স্ট্রেস দূর হয়। তাছাড়া কাজ করার সময় কোন কিছু মুক্তভাবে চিন্তা করা যায় না। হাটার সময় অনেক কিছু নিয়ে মুক্তভাবে চিন্তা করা যায়।
# মেডিটেশন
মিডিয়া ম্যাভেন প্রতিদিনই রাতে মেদিতাতিওন করেন। সারাদিনের স্ট্রেস দূর করার সব থেকে কার্যকর উপায় হল মেডিটেশন। সবসময়ই একটি তর্ক ছিল যে মেডিটেশন কি আদৌ কোন উপকারে আসে কিনা। তবে ২০১৪ সালে ১৯০০০ লোকের উপর একটি গবেষণায় এই কথা প্রমাণিত হয় যে, মেডিটেশন মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, বিষণ্ণতা ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
# পরের দিনের পরিকল্পনা করা
দ্যা আমেরিকান এক্সপ্রেস এর সিইও তার সময় কে অনেক প্রাধান্য দেন। উনি প্রতি রাতে পরবর্তী দিনে করণীয় তিনটি কাজ চিন্তা করে রাখেন। যাতে পরের দিন সকালে উঠে তা সময় মত করতে পারে।