পৃথিবীর ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং হতবুদ্ধিকর কিছু ভুল

Author Topic: পৃথিবীর ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং হতবুদ্ধিকর কিছু ভুল  (Read 2499 times)

Offline omarsharif

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 162
  • Everyday is a good day.
    • View Profile
কম বেশি ভুল সবারই হয়। কিন্তু সেই ভুল যখন এতটাই হয়ে পরে যে সেটা ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নেয় তখন সেটা নিয়ে আলোচনা হবে এমনটাই স্বাভাবিক। আসুন দেখি ইতিহাসের সেরা কিছু ভুল এবং তার কারন জানি

১) ১১৭ বছর ধরে নির্মান করা হয় ইতালির বিখ্যাত পিসার হেলানো মিনার। আর সেটা হেলতে সময় নেয় মাত্র ১০ বছর। আজব ব্যাপার হল মাত্র ২০০৮ সালে এসে প্রায় শ খানেক ইঞ্জিনিয়ার এর সমস্টিগত প্রচেস্টায় এটার হেলানো বন্ধ হয় এবং ইঞ্জিনিয়াররা ঘোষনা দেন আগামি ২০০ বছরে এটি আর হেলবে না। প্রধানত নির্মানের সময় বেইজের দুর্বলতার কারনে এটি হেলা শুরু করে। পরবর্তিতে বেইজে প্রচুর কাজ করা সত্বেও এটি হেলতেই থাকে।

২) টাইটানিকে প্রচুর মানুষ মারা যাওয়ার প্রধান করা হিসাবে ধরা হয় এটিতে যথেস্ট পরিমানে লাইফ বোট ছিল না। কিন্তু পরবর্তিতে জানা যায় জাহাজ কর্তৃ পক্ষ ইচ্ছা করেই যথেস্ট লাইফ বোট রাখেইনি কারন তাদের ধারনা ছিল এটি "unsinkable" বা কখনোই ডুববে না।

৩) নাসা ১৯৯৯ সালে Mars Climate Orbiter নামক একটা মহাকাশ যান খুব হাস্যাকর একটা কারনে হারিয়ে ফেলে যেটা মঙ্গল গ্রহকে প্রদক্ষিন করছিল। কারন ছিল লকহিড মার্টিন যারা মহাকাশ যানটিকে তৈরি করেছিল তাদের সফ্টওয়ারটি ছিল আমেরিকান ইউনিট সিস্টেমে। আর নাসা র কম্পিউটারগুলা চলতেছিল ব্রিটিশ উনিট সিস্টেমে। ফলে দুইটার ক্যালকুলেশনে ব্যাপক গোলমাল লেগে যায় আর হাজার কোটি টাকার আস্ত একটা মহাকাশ জান মঙ্গলগ্রহের মাটিতে আছরে পরে।

৪) ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন ভেবেছিলেনতিনি শীত কালে রাশিয়া আক্রমন করে পুরো রাশিয়া দখল করে নিতে পারবেন। পরবর্তিতে তিনি স্বিকার করেছিলেন এটি ছিল তার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ ভুল। অর্ধেক সৈন্য প্রচন্ড ঠান্ডয় মারা যায় আর বাকি অর্ধেক খাবারে অভাবে অভুক্ত অবস্থায় প্রচন্ড খারাপ অবস্থায় ফ্রান্সে ফিরে আসে।

৫) হে হে হে হে ............. আমাদের হিটলার বাবাজি মনে করছিলেন তিনি নেপোলিয়ন এর থেকে আরো একটু বেশি ভালো করবেন। তাই তিনিও শীত কালে রাশিয়া আক্রমন করে বসেন। যে যাই বলুক জার্মানরা পুরো বিশ্ব যুদ্ধে হেরে যাওয়ার এটাই প্রধান কারন। রাশিয়ার সেই দুধর্ষ শীত।

৬) ১২১৯ সালে চেঙ্গিস খান তৎকালি পারস্য(ইরান) শাষকের কাছে তিনজন রাস্ট্রদুত পাঠিয়েছিলেন শান্তি আলোচনার জন্য যাদের একজন চাইনিজ এবং দুইজন মুসলিম ছিলেন। পারসিয়ানরা তাদের মাথা কেটে শুধু দেহটা ঘোরার পিঠে বেধে চেঙ্গিস খানের কাছে ফেসত পাঠায়। চেঙ্গিস খান পারস্যের এক কোনা দিয়ে যুদ্ধ আর ধংস্ব শুরু করেন ঠিক আরেক কোনয়া গিয়ে ক্ষান্ত দেন। পুরো পারস্যতে কয়েক কোটি মানুষ নিহত হয় শুধু মাত্র এই সামান্য ভুলটার জন্য। গোয়ার্তুমিও বলা চলে।

৭) ডাচরা মানে কিংডম অফ নেদারল্যান্ড ব্রিটিশদের প্রায় ১০০ বছর আগে অস্ট্রেলিয়া আবিস্কার করেছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় তাদের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এটাকে একটা ব্যাবহার অযোগ্য মরুভুমি বলে ফেলে গিয়েছিল। অথছ ব্রিটিশরা আজও অস্ট্রেলিয়ার কর্তা হিসাবে চলতেছে। আর আমার ধারনা অর্থনৈতিক দিক থেকে অস্ট্রেলিয়া দিয়ে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে ব্রিটিশরা।

৮) রাশিয়া তার আলাস্কা নামক অঞ্চলটা আমেরিকার কাছে মাত্র দুই সেন্ট আর এক একর জমির বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছিল কারন তাদের ধারনা ছিল এত বরফের মধ্যে আসলে কিছুই নেই আর এটা একেবারেই ইউজলেস হবে। পরবর্তিতে এই বরফঢাকা অঞ্চলটিই এখন আমেরিকার বিশাল সম্পদে পরিনত হয়েছে।

৯) ইনকা সম্রাট Atahualpa স্প্যানিশ কর্নেল Francisco Pizarro এর সাথে দেখা করতে সম্মত হন যখন তার ৮০ হাজার সৈন্য Francisco Pizarro এর মাত্র ২০০ ঘোর সওয়ার সৈন্যের সাথে পরাজিত হয়। ঘটনাটা এতটাই মারাত্মক ছিল যে পরবর্তিতে পুরো ইনকা সম্রাজ্যের পতন ঘটে এবং তারা একেবারে পৃথিবীর বুক থেকে পুরোপুরি বিলিন হয়ে যায়। অনেকেই বলে থাকেন Francisco Pizarro ইনকাদের উপর মারাত্মক গনহত্যা চালিয়েছিলেন।

১০) একটা সামান্য কাঠের ঘোরা তাদের শহের ঢুকানোর ভুলের মাসুল হিসবে পুরো ট্রয় নগরি ধংস্ব প্রাপ্ত হয়। মারাত্মক এই ভুলের গল্পটা সবারই জানা আছে। ঘোরার ভিতরে থাকা গ্রিক সৈন্যরা পরবর্তিতে রাতের আধারে ট্রয় নগরির প্রধান গেট খুলে দেন এবং পুরো ট্রয় ধংস্ব প্রাপ্ত করে গনহত্যা চালায় গ্রিকরা।