শিশুর আই কিউ সম্পর্কিত কিছু কথা
আই কিউ, বর্তমান সময়ের হরহামেশা শোনা যাওয়া শব্দগুলোর মধ্যে একটি। কিন্তু এই আই কিউ? কেনই বা এটি প্রয়োজন? চলুন জেনে নেওয়া যাক এই সম্পর্কিত কিছু কথাঃ
আই কিউ কি?
“ইন্টেলিজেন্ট কোয়েশ্চেন্ট” এর সংক্ষিপ্ত এই রূপ আই কিউ। কারো বুদ্ধির মাত্রা নিরূপন করতে এটি ব্যবহার করা হয়।
একটি শিশুর আই কিউ নিরূপণে যেসব কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে তা হলোঃ
১। সাধারণ বুদ্ধিমত্তা।
২। মানসিক সুস্থতা।
৩। বংশগত ইতিহাস।
৪। পারিবারিক পরিবেশ।
৫। গর্ভাবস্থায় শিশুর ভ্রুণের বৃদ্ধি ও বিকাশের অবস্থা।
৬। পুষ্টি ইত্যাদি।
শিশুর দেড় থেকে সাড়ে তিন বছরের মাথায় যেসব লক্ষণ আপনাকে জানান দেবে যে আপনার সন্তানের আই কিউ স্বাভাবিক মাত্রায় রয়েছে তা হলোঃ
শিশু নিজের নাম ভালভাবে বলতে পারে এবং সেইসাথে পরিবারের সব সদস্যদের নামও বলতে পারে।
দুই থেকে আড়াই বছর বয়সের মধ্যে তাকে ছড়া শেখানো হলে শুনে শুনে তা আবৃত্তি করতে পারে।
সবাই যখন একসাথে গান গাইছে বা কিছু বলছে তাতে নিজের কন্ঠ মেলাতে পারে এবং মেলাতে উদ্যত হয়।
শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গের নাম জানে এবং ভালোভাবে বলতে পারে।
কোন কিছু দেখলে তার বর্ণনা ভালোভাবে দিতে পারে।
সংখ্যা গণনা করতে সক্ষম।
বিভিন্ন খেলা যাতে কিছুটা বুদ্ধিমত্তা বা মানসিক দক্ষতা দরকার তা খেলতে পারে এবং তাতে উৎসাহ পায়।
বাবা-মায়ের নির্দেশনা বুঝে কাজ করতে পারে।
নিজেকে কিভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকে।
রাগ, দুঃখ, আনন্দ, খুশি এসবের সঠিক বহিঃপ্রকাশ করতে সক্ষম।
এসব লক্ষণগুলো আপনার সন্তানের মাঝে দেখা দিলে বুঝতে পারবেন যে আপনার সন্তানের আই কিউ স্বাভাবিক মাত্রায় আছে এবং সে সঠিকভাবেই বেড়ে উঠছে।