চলতি বছরের অক্টোবরের চতুর্থ বৃহস্পতিবার প্রায় ৫১০ কোটি ডলার সমমূল্যের শেয়ার রিপারচেজ (বাইব্যাক) করার ঘোষণা দেয় ওয়েব জায়ান্ট গুগলের মালিক ও নতুন প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেট ইনকর্পোরেট। এই অর্থের পরিমাণ নির্ধারণে বরাবরের মতো গণিতের আশ্রয় নিয়েছে গুগল।
ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইংরেজি মোট অ্যালফাবেট অর্থ্যাৎ ২৬ সংখ্যাটিকে বর্গমূল করে প্রাপ্ত ফলাফলকে ১ বিলিয়ন দিয়ে গুণ করে এই অর্থের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে।
এভাবে হিসেব করলে ফলাফল আসে ৫,০৯৯,০১৯,৫১৩.৫৯। বৃহস্পতিবারের ঘোষণায় প্রতিষ্ঠানটির বোর্ড অফ ডিরেক্টরসের পক্ষ থেকে ঠিক একই পরিমাণ (৫০৯ কোটি ৯৯ লাখ ১৯ হাজার ৫১৩.৫৯ ডলার) সমমূল্যের ক্লাস সি স্টক পুনরায় কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, সংবাদ সম্মেলনে আরবিসি ক্যাপিটালের গবেষক মার্ক মেহানি অর্থের পরিমাণ নির্ধারণে গাণিতিক সূত্র ব্যবহারের প্রসংগ তুলে এ নিয়ে প্রশ্ন করেন।
প্রশ্নের জবাবে মার্কের প্রশংসা করলেও প্রতিষ্ঠানটির অর্থবিভাগের প্রধান রুথ পোরাত জানান, প্রতিষ্ঠানের বাজেট এবং সম্ভাবনার সকল ক্ষেত্রে বিচার-বিশ্লেষণ করে প্রথমে অর্থের পরিমাণ প্রাথমিকভাবে ৫০০ কোটি (৫ বিলিয়ন) ডলার করা হয়। তারপর এই গাণিতিক ফর্মুলা অনুযায়ী তাতে পরিবর্তন আনা হয়।
বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থের পরিমাণ নির্ধারণে গুগলের গণিতের আশ্রয় নেওয়ার ঘটনা এই প্রথম নয়।
এর আগে গাণিতিক টার্ম ‘Googol ‘ এর সঙ্গে মিল রেখেই প্রতিষ্ঠানটির নাম গুগল রাখা হয়। গাণিতের ভাষায় ১ এর সঙ্গে ১০০ টি শূন্য বসিয়ে যে সংখ্যা পাওয়া যায় তা Googol বলে পরচিত।
এরপর ভবিষ্যত পরিকল্পনা হিসেবে ২,৭১৮,২৮১,৮২৮ (২৭১ কোটি ৮২ লাখ ৮১ হাজার ৮২৮) ডলার পরিমাণ অর্থ অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করে গুগল যা মূলত গাণিতিক ধ্রুবক e কে ১০০ কোটি দিয়ে গুণ করার মাধ্যমে পাওয়া যায়।
এ ছাড়া গাণিতিক ধ্রুবক ‘পাই’ এর সঙ্গে মিল রেখে নরটেল নেটওয়ার্ক পেটেন্ট কেনার জন্য ঠিক ৩.১৪ বিলিয়ন ডলার পরিমাণ অর্থ বিড করে প্রতিষ্ঠানটি ।
২০১৪ সালে আবার পাইয়ের দশমিকের পরবর্তী অংশের সঙ্গে মিল রেখে ঠিক ১৪,১৫৯,২৫৯ (১ কোটি ৪১ লাখ ৫৯ হাজার ২৫৯) ডলার সমমূল্যের স্টক বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় প্রতিষ্ঠানটি।