গর্ভাবস্থায় অনেক নারীরই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। তবে এ হার আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে। বিষয়টিকে উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
গর্ভবতী নারীদের ডায়াবেটিসের উর্দ্ধগতি দেখা গেছে ভারতের এক পরিসংখ্যানে। এতে উঠে এসেছে শহর এলাকায় প্রতি সাত জনে একজন অল্পবয়সী গর্ভবতী নারী ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। গত দশকে নারীদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার এ সংখ্যা ছিল প্রতি ১০ জনে একজন। বাংলাদেশের পরিস্থিতিও অনুরূপ হওয়ায় গর্ভবতী নারীদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার উর্দ্ধগতি আশঙ্কা করা হচ্ছে। গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়া নারীদের অনেকেই অবশ্য পরবর্তীতে সুস্থ হয়ে ওঠেন।
এ ধরনের ডায়াবেটিস অতীতে কম থাকলেও এখন কী কারণে বাড়ছে তা নিয়ে চিন্তিত গবেষকরা। মাত্র এক দশকেই ভারতীয় গর্ভবতী নারীদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার হার প্রতি ১০ জনে চার জন বেড়েছে বলে জানান ডা. প্রদীপ গ্যাজ। তিনি মুম্বাই সেভেন হিলস হসপিটালের কনসালটেন্ট ডায়াবেটোলজিস্ট।
ডায়াবেটিস বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জীবনযাপনে পরিবর্তন, ঘুম ও ঘুম থেকে ওঠার চক্রে ব্যাঘাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া নারীদের গর্ভবতী হওয়ার গড় বয়সও বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ ধরনের ডায়াবেটিস নির্ণয় করা গর্ভবতী নারীদের জন্য জরুরি। চিকিৎসকরা ডায়াবেটিস রয়েছে কি না, তা জেনে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে পারেন। এ কারণে গর্ভাবস্থায় নিয়মিত ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
এ ধরনের ডায়াবেটিস এড়াতে সুস্থ জীবনযাপন, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, হাঁটাহাটি ও হালকা শারীরিক অনুশীলন করা, ওজন নিয়ন্ত্রণ করা ও মানসিক চাপমুক্ত থাকা প্রয়োজন।