ব্যস্ত শহুরে জীবনে খাবারের ব্যাপারে আমরা অনেকখানিই ফ্রিজের ওপর নির্ভরশীল। কারণ রোজ রোজ বাজারে যাবার সময় কোথায়!
অন্যদিকে একবারে বেশি করে রান্না না করলে টিভি সিরিয়ালের জন্য সময় বের করা গৃহিনীদের জন্য মুশকিল বৈকি!
আপনি যদি এমন জীবন-ধারায় অভ্যস্ত হয়ে থাকেন, তবে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে।
জেনে রাখুন ফ্রিজের খাবার খেয়ে আপনি নিজের শরীরের ক্ষতি করছেন। আর ফ্রিজ থেকে বের করেই যদি তা খেতে শুরু করে দেন তাহলে না খেয়ে থাকার চেয়েও বেশি ক্ষতি করছেন শরীরের। ঠাণ্ডা খাবার থেকে Food-Borne ডিজিজ হতে পারে |
সব থেকে আদর্শ হয় যদি রান্না করার তিন ঘণ্টার মধ্যে তা খেয়ে ফেলতে পারেন। এটা অনেকের পক্ষেই সম্ভব নয়। তাই খাবার আগে সব সময় খাবার গরম করে খান।
খুব ভালভাবে রান্না করলেও কিছুক্ষণ পর থেকে খাবারকে ডিগ্রেডেশন আর ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে বাঁচানো যায় না। এমনকী সঠিকভাবে খাবার ফ্রিজে ভরে রাখলেও তার মধ্যে ব্যাকটেরিয়া কাজ শুরু করে দেয়।
আমরা অনেকেই ভাবি ফ্রিজে খাবার ঢুকিয়ে রাখা মানে তা ঠিক থাকবে। তবে মনে রাখুন ঠাণ্ডার কারণে ব্যাকটেরিয়া ধীরে ধীরে কাজ করে। কিন্তু থেমে থাকে না। তাই ফ্রিজ থেকে খাবার বের করে তা অবশ্যই গরম করে নিয়ে খেতে হবে।
খাবার গরম করার আগে কিছু বিষয় মনে রাখতে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। যেমন-
১. অল্প আঁচে খাবার গরম করুন। এর ফলে খাবারে যে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়ে তাও খানিকটা মরে যায়। উচ্চ তাপমাত্রায় খাবার কখনো গরম করবেন না। এতে খাবারের নিউটিয়েন্টস‚ ভিটামিন এবং মিনারেল নষ্ট হয়ে যায়।
২. খাবার গরম না করে স্টিমিং করে নিন। অল্প পানি খাবারের ওপর ছিটিয়ে লো ফ্লেমের ওপর খাবারের পাত্র বসিয়ে রাখুন। মাইক্রো ওয়েভে খাবার গরম করলেও এ ভাবেই করুন।
৩. ডাল‚ সুপ বা ঝোল গরম করার সময় সেটা একবার ফুটিয়ে নিন। মাইক্রো ওয়েভ ওভেনে মাঝে মাঝে খাবার চামচ দিয়ে নাড়িয়ে দিন।
৪. পাঁউরুটি‚ পিজা বা ভাজা ফ্রিজে রাখলে তা নেতিয়ে যায়। তাই ফ্রিজ থেকে বের করে কিছুক্ষণ রুম টেম্পরেচারে রেখে তাওয়ায় গরম করুন। মাইক্রো না করাই ভালো। কারণ এরে ফলে তা আরো শক্ত হয়ে যায়।
৫. দুদিনের বেশি যে খাবার ফ্রিজে রাখা আছে তা না খাওয়াই ভালো।
ক্যাম্পাসলাইভ২৪ডটকম