কৃতের টিউমার ও ক্যান্সার নিরাময়ে ট্রান্স-আরটারিয়াল কেমো-এম্বোলাইজেশন (টেইস) পদ্ধতির ব্যবহার শুরু হয়েছে বাংলাদেশে।
আকৃতি ও অবস্থানের কারণে যাদের যকৃতের টিউমার অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সরানো সম্ভব নয়, তাদের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতিই বিশ্বে সবচেয়ে কার্যকর বলে বিবেচিত হচ্ছে এখন। এ পদ্ধতিতে রক্তনালীর মাধ্যমে সরাসরি টিউমারে কেমোথেরাপি দেয়া যাবে।
শুক্রবার ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রথমবারের মতো এ পদ্ধতি ব্যবহার করে ‘সফল’ হয়েছেন বাংলাদেশের একদল চিকিৎসক।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মামুন-আল-মাহতাব স্বপ্নীল এ দলের নেতৃত্ব দেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, নতুন এ পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশ ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজির আঙিনায় প্রবেশ করল।
“আমাদের রোগীরা এখন থেকে দেশেই লিভার ক্যান্সারের এই চিকিৎসা পাবেন। তাদের খরচ পড়বে ভারতের অর্ধেক।”
দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে শিগগিরই এ চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন এই চিকিৎসক।
এই দলে আরও আছেন শেখ মোহাম্মদ নুর-ই-আলম, মো. আশরাফুল ইসলাম, সৈয়দ আবুল ফজল, জাহাঙ্গীর সরকার, আহমেদ লুৎফুল মোবেন, মো. আবদুর রহিম ও ফয়েজ আহমেদ খন্দকার।
তাদের প্রায় সবাই নয়া দিল্লির ইনস্টিটিউট অব লিভার অ্যান্ড বিলিয়ারি সায়েন্সেস এবং চেন্নাইয়ের গ্লোবাল হেলথ সিটিতে ‘টেইস’ পদ্ধতির ওপর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বলে স্বপ্নীল জানান।
বাংলাদেশে ক্যান্সারে ভুগে প্রতি বছর যত লোকের মৃত্যু হয়, তাদের মধ্যে যকৃতের ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা তৃতীয় সর্বোচ্চ। ক্রনিক হেপাটাইটিস ‘বি’ ও ‘সি’ ভাইরাসের সংক্রমণকেই এ দেশে যকৃতের ক্যান্সারের মূল কারণ বলে মনে করা হয়।
“অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই রোগীরা আসেন একেবারে শেষ পর্যায়ে। তখন আর অস্ত্রোপচার করার উপায় থাকে না,” বলেন স্বপ্নীল।