শিক্ষক হলো মানুষ গড়ার কারিগর। শিক্ষকরাই একটি শিশুর ভবিষ্যতে চলার পথ তৈরী করে দেন। কিন্তু শিক্ষকের ওপর দিয়েও এজন্য কম ঝক্কি যায় না। বরং ছাত্রের চাইতে শিক্ষকের পরিশ্রম ঢের ঢের বেশী। তাই কিছু পরামর্শ রইলো কিভাবে একজন মানুষ গড়ার কারিগর হাজার কাজের মাঝে নিজেকে রাখবেন সুস্থও কর্মক্ষম।
স্ট্রেস সামলান: প্রতিদিন সকালে নিজেকে প্রশান্ত করার জন্যে কিছু সময় রাখুন। এসময় ইয়োগা বা মেডিটেশন করতে পারেন। মন শান্ত থাকলে পাঠদান থেকে শুরু করে ছাত্র ছাত্রীর সাথে ব্যবহার- সবটাতেই আপনার মন প্রফুল্ল থাকবে।
শেয়ার করুন: কর্মক্ষেত্রের সমস্যাগুলো অন্যদের সাথে আলোচনা করুন। ভালো লাগবে। হয়তো সমস্যার কোনো সমাধান বেড়িয়ে আসবে।
সংযত হনঃ সংযত হন ছাত্র ছাত্রীদের সামনে আপনার আচার ব্যবহারে। কেননা তারা কিন্তু আপনাকে দেখেই শিখবে। ক্লাসে ফোনে কথা বলা কিংবা কোনও কর্মচারীর সাথে কড়া কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।
লক্ষ্য নির্ধারণ করুন: কর্মজীবনে আপনি কোন পর্যায়ে যেতে চান সেটা নির্ধারণ করুন। কাজ করতে আরো সুবিধা হবে।
পর্যাপ্ত ঘুমান: যদি সকালে উঠেই আপনাকে যেতে হয় স্কুলে। তাহলে সারাদিনই ব্যস্ত থাকতে হবে কাজ নিয়ে। তাই রাত জেগে কোনো কাজ না করার চেষ্টা করুন। আর ভালো ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
সকালে ভালোভাবে নাস্তা করুন: রাতে ঘুমানোর পাশাপাশি সকালে ভালোভাবে নাস্তা করার চেষ্টা করুন। সেটাই আপনাকে সারাদিন উতফুল্ল এবং কর্মোদ্যম থাকতে সাহায্য করবে।
আরামদায়ক জুতা: প্রতিদিনই আপনাকে আপনাকে পায়ের ওপর ভর করেই থাকতে হয় বেশিরভাগ সময়টা। তাই চেষ্টা করুন সেই জুতা পড়তে যা আপনাকে আরাম দেয়। হিল পরিহার করুন।
দুপুরের খাবার আরাম করে: দুপুরে খেতে বসেও কাজ নিয়ে পড়বেন না। বরং এই সময় অন্যদের সাথে কথা বলতে বলতে আরাম করে খান। বা এ সময় বইও পড়তে পারেন।
ব্যায়াম করুন: প্রতিদিন অন্তত ত্রিশ মিনিট ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। ভালো বোধ করবেন।
ব্রেক: সারাদিনে অন্তত একবার ব্রেক নিন। তখন শিক্ষার্থী প্রিন্সিপাল বা যা কিছু স্কুলে বিরক্তিকর তা থেকে দূরে থাকুন। মাত্র কয়েক মিনিটের জন্যে। সেসময় গভীরভাবে শ্বাস নিন। তারপর কাজে ফিরুন। ভালো লাগবে।
- See more at:
http://www.priyo.com/2013/02/11/10062.html#sthash.xcHQRmyh.dpuf