বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই তথ্যপ্রযুক্তির উদ্ভাবনী পেশা ও উদ্যোগ বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এগুলো বেশ জনপ্রিয়, তবে কিছুটা চ্যালেঞ্জিং। তারপরও তরুণ প্রজন্ম এসব ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশেও এমনটা দেখা যাচ্ছে। তিন তরুণের উদ্ভাবনী উদ্যোগ অ্যাপবাজার, জুমশেপার ও মার্কেেটভার নিয়ে আজকের আয়োজন। লিখেছেন নুরুন্নবী চৌধুরী
অ্যাপবাজারে টাকায় কেনা যায় অ্যাপঅ্যাপবাজার
স্মার্টফোনের অ্যাপ্লিকেশনের (অ্যাপ) জন্য অনেক কাজই এখন সহজ হয়ে গেছে। সাধারণত অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের অ্যাপ নামানোর ক্ষেত্রে গুগল প্লে স্টোর, আইওএসের জন্য অ্যাপল অ্যাপ স্টোর ও উইন্ডোজের জন্য মাইক্রোসফট স্টোর থেকেই অ্যাপ নামানো হয়। বাংলাদেশের অনেকেই অ্যাপ তৈরি করছেন আর সেগুলোর সহজ ব্যবহার নিশ্চিত করতে চালু হয়েছে ‘অ্যাপবাজার’ নামের একটি উদ্যোগ। বিভিন্ন অনলাইন স্টোরের মতো এখান থেকেও অ্যাপ নামানো, কেনাবেচা সবই করা যাবে বলে জানালেন অ্যাপবাজারের নির্মাতা অ্যাডভান্সড অ্যাপস বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আলম।
শফিউল আলমজীবন যাপনে স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য মানুষের হাতের মুঠোয় এখন নানা অ্যাপ। মানুষের ঘুমের ধরন বিশ্লেষণ করা থেকে শুরু করে তার জেগে ওঠা, দৈনন্দিন কাজ আর বিশ্রাম-বিনোদনের সবকিছুতেই এখন অ্যাপের ছড়াছড়ি। তবে অব্যবহারকারীর চাহিদামাফিক সব অ্যাপ পাওয়া গেলেও ঘরে বসে পছন্দের অ্যাপ কেনাবেচার সমস্যাটি এখনো আছে। আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড না থাকা, লেনদেনের জনপ্রিয় মাধ্যম পেপ্যাল না থাকা ইত্যাদি কারণে অনেকেই তাঁর পছন্দের বা দরকারি অ্যাপ কিনতে ব্যর্থ হন বলে জানালেন শফিউল আলম। তিনি বললেন, ‘অন্যদিকে অ্যাপ নির্মাতারা নিজেদের বানানো অ্যাপ বিক্রি করতে পারছেন না ঠিক একই সমস্যার কারণে। এমন সমস্যার সহজ সমাধানের জন্য বাংলাদেশে চালু হয়েছে দেশীয় অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ নির্মাতাদের অ্যাপবাজার। এ উদ্যোগে একজন ব্যবহারকারী খুব সহজেই তাঁর পছন্দের অ্যাপ দেশীয় মুদ্রায় কিনতে পারবেন।’
অন্যান্য অ্যাপস্টোর থেকে পুরোপুরি ভিন্ন আদলে তৈরি করা হয়েছে অ্যাপবাজার। এখানে একজন নির্মাতা কোনো টাকা ছাড়াই বিনা মূল্যে অ্যাপ অনলাইন স্টোরে ছাড়তে (আপলোড) পারবেন। ব্যবহারকারীরা সহজে নিজেদের মুদ্রায় অর্থাৎ টাকায় অ্যাপ কিনতে পারবেন এবং কম দামে অ্যাপ বিক্রিও করতে পারবেন। মাস শেষে কোনো ধরনের কার্ডের ঝামেলা ছাড়াই নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অ্যাপ বিক্রির টাকা পাওয়ার সুবিধা পাওয়া যাবে।
অ্যাপবাজারে আছে বাংলা ও ইংরেজির চমৎকার ইন্টারফেস। ফলে ব্যবহারকারী তাঁর ইচ্ছেমতো ভাষায় ব্যবহার করতে পারবেন এই অ্যাপবাজার।
অ্যাপবাজারে ব্যবহারকারী ও নির্মাতার মধ্যে রাখছে চ্যাট করার সুবিধা, ফলে একজন ব্যবহারকারী তাঁর পরিচিতজনদের সঙ্গে খুব সহজেই যোগাযোগ করতে পারবেন।
শফিউল জানালেন, আগামী দুই বছরে ৫০ হাজার মানসম্পন্ন অ্যাপ নির্মাতা গড়ে তুলতে সাহায্য করতে চায় অ্যাপবাজার। পাশাপাশি সেসব অ্যাপ যাতে সহজেই কেনাবেচা বা নামানোর সহজ সুযোগ থাকে, সেটিও নিশ্চিত করার উদ্যোগে শামিল হতে চায় অ্যাপবাজার।
অ্যাপবাজারের বিস্তারিত:
www.appbajar.com।