মহাকর্ষীয় তরঙ্গের খুঁটিনাটি আলোচনা

Author Topic: মহাকর্ষীয় তরঙ্গের খুঁটিনাটি আলোচনা  (Read 1888 times)

Offline shalauddin.ns

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 364
  • Test
    • View Profile
আজ থেকে ১০০ বছর আগে আলবার্ট আইনস্টাইন তাঁর আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্বে যে মহাকর্ষীয় তরঙ্গের কথা বলেছিলেন, বিজ্ঞানীরা সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে বাস্তবে শনাক্ত করার ঘোষণা দেন ১১ ফেব্রুয়ারি।
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (ক্যালটেক), ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি), লেজার ইন্টারফেরোমিটার গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েব অবজারভেটরি (লাইগো) এবং ভার্গো সায়েন্টিফিক কোলাবোরেশনের গবেষকেরা এই ঘোষণা দেন।
পদার্থবিজ্ঞানের জগতের এই গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারটির বিষয়ে সাধারণ মানুষকে জানানোর জন্য এবং তাদের মনে যেসব প্রশ্ন এসেছে, সেগুলোর উত্তর খোঁজার জন্য বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি (এসপিএসবি) এবং ঢাকা ইউনিভার্সিটি সায়েন্স সোসাইটি (ডিইউএসএস) গতকাল বুধবার যৌথভাবে এক গণবক্তৃতার আয়োজন করে।
‘মহাকর্ষীয় তরঙ্গের খোঁজে ১০০ বছর’ শীর্ষক এই আয়োজনটিতে বক্তা হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান আরশাদ মোমেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান লাইব্রেরির পাশে অবস্থিত ফার্মেসি লেকচার থিয়েটারে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
মহাকর্ষীয় তরঙ্গ আসলে কী, এটা কীভাবে কাজ করে, আর আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্বে এর স্থানই বা কোথায়? কীভাবে বিজ্ঞানীরা এই তরঙ্গ শনাক্ত করলেন? আর কেনইবা এটা শনাক্ত করতে ১০০ বছর লেগে গেল? সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্নগুলো এসেছে এই আবিষ্কারের পর। গতকালের আয়োজনটিতে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে। আরশাদ মোমেন কথা বলেছেন মহাকর্ষীয় তরঙ্গের প্রকৃতি, ১৯১৫ সালে দেওয়া আলবার্ট আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্বে মহাকর্ষীয় তরঙ্গের স্থান, এটি নিয়ে বিজ্ঞানীদের করা গবেষণা, লাইগোর মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্ত করার যন্ত্রের গঠন, কার্যপদ্ধতি এবং মহাকর্ষীয় তরঙ্গ আবিষ্কারের ইতিহাস নিয়ে।
পৃথিবী থেকে ১৩০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে দুটি কৃষ্ণগহ্বর পরস্পরকে কেন্দ্র করে চক্রাকারে ঘুরতে ঘুরতে একপর্যায়ে মিশে যায়। এর ফলে সৃষ্টি হয় মহাকর্ষীয় তরঙ্গ, যা পৃথিবী থেকে উপযুক্ত যন্ত্রের মাধ্যমে শনাক্ত করা সম্ভব। উৎস থেকে মহাকর্ষ তরঙ্গের বিস্তার তড়িৎচৌম্বক ক্ষেত্রের চেয়ে অনেক দ্রুতগতিতে হ্রাস পায় এবং এ কারণে এটাকে শনাক্ত করা দুরূহ কাজ। এ কাজটা করার জন্য বিজ্ঞানীরা লিগো নামক যন্ত্র তৈরি করেন।
গত শতকের ষাটের দশকে মস্কো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্লাদিমির ব্রাগিনস্কি ও তাঁর সহযোগীরা দেখালেন, দুটো কৃষ্ণগহ্বর মিলিত হয়ে নতুন কৃষ্ণগহ্বর তৈরি হওয়ার সময় যে মহাকর্ষ তরঙ্গ তৈরি হবে, তা পৃথিবীতে শনাক্ত করা সম্ভব এবং তার বৈশিষ্ট্য চারপাশের সৃষ্ট সংকেতের চেয়ে বেশ ভিন্ন হবে। কিন্তু কেমন হবে সেই সংকেত?
এ প্রশ্নটি ১৯৯০ থেকে বিজ্ঞানীদের ভাবিয়ে তুললেও এর উত্তর এল ২০০১ সালে। প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ফ্রাঞ্জ প্রিটোরিয়াস কম্পিউটারে হিসাব করে বের করলেন ব্রাগিনস্কি ও তাঁর দলের চিহ্নিত উৎস থেকে নিঃসৃত মহাকর্ষ তরঙ্গের চেহারা। ২০০২ সাল থেকে লিগো তাঁর পর্যবেক্ষণ শুরু করলেও দীর্ঘ ১৩ বছর পরে তাঁরা তাঁদের লক্ষ্যে পৌঁছেছেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নূরুজ্জামান খান, কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং ঢাকা ইউনিভার্সিটি সায়েন্স সোসাইটির মডারেটর লাফিফা জামাল এবং বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির সহসভাপতি মুনির হাসান।

Offline subrata.ns

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 255
  • Test
    • View Profile
    • https://www.daffodilvarsity.edu.bd/
Hopefully this new invention can create a very big research field for the scientists.
Subrata Banik
Lecturer (Physics)
Department of General Educational Development

Offline shan_chydiu

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 276
  • Test
    • View Profile
Shanjida Chowdhury

Offline asitrony

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 547
    • View Profile
useful information. Many things to know from the article.

Thanks for sharing.

Offline Mohammad Salek Parvez

  • Faculty
  • Sr. Member
  • *
  • Posts: 387
    • View Profile
thanks. Make a larger discussion on it.

Offline Showrav.Yazdani

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 410
  • Everyone is teacher and Everything is Lesson
    • View Profile
Thanks for sharing.
Regards,
Showrav
Lecturer
Dept. of Business Administration

Offline Md. Rasel Hossen

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 299
  • Test
    • View Profile
Thanks for your significant information....
Md. Rasel Hossen
Senior Lecturer in Physics
Department of Natural Sciences
Daffodil International University,
Sukrabad, Dhanmondi, Dhaka-1207, Bangladesh