হজের সফরে মসজিদে নববীতে চল্লিশ ওয়াক্ত নামাজ কী জরুরি?

Author Topic: হজের সফরে মসজিদে নববীতে চল্লিশ ওয়াক্ত নামাজ কী জরুরি?  (Read 1697 times)

Offline taslima

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 515
    • View Profile
মসজিদে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমল। আর ওই নামাজ যদি মসজিদে নববীর জামাতে শামিল হয়ে আদায় করার সুযোগ হয়- তাহলে সেটা তো অতি উত্তম। কারণ, মসজিদের নববীতে এক ওয়াক্ত নামাজ (কমপক্ষে) হাজার রাকাত নামাজের সমতুল্য।

এমন ফজিলতের কারণে দেখা যায়, হজের সফরে মসজিদে নববীতে উপস্থিত হওয়ার এবং রাসূলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রওজা মোবারকে গিয়ে সরাসরি সালাম পেশ করার সৌভাগ্য অর্জনের জন্য মদিনা মোনাওয়ারার উদ্দেশে হজ পালনকারীরা ব্যাকুল থাকেন।

নিঃসন্দেহে এটা অতি উত্তম আমল। কিন্তু হজের সময় মসজিদে নববীতে অবস্থানের জন্য ইসলামি শরিয়তের পক্ষ থেকে কোনো মেয়াদ নির্ধারিত নেই। অর্থাৎ এটা অপরিহার্য নয় যে, সেখানে কমপক্ষে আট দিন থাকতে হবে। আটদিন থাকলে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হিসেবে চল্লিশ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের সুযোগ হয়।

আমাদের দেশের অনেকেই মসজিদের নববীতে আট দিন অবস্থানকে এত জরুরি মনে করে যে, এর জন্য নিজেকে, সফরসঙ্গীদেরকে এবং কাফেলার আমিরকে কষ্টে ফেলে দিতেও দ্বিধা বোধ করেন না। অথচ তা শরিয়তের পক্ষ হতে নির্ধারিত কোনো মেয়াদ নয় যে, তা পূরণ করা এত জরুরি মনে করতে হবে। এ প্রসঙ্গে মুসনাদে আহমদ (৩/১৫৫) ও তবারানিতে (৫৪৪) একটি রেওয়ায়েত আছে, কেউ যদি এই মসজিদে (অর্থাৎ মসজিদে নববীতে) ধারাবাহিকভাবে চল্লিশ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে তাহলে সে জাহান্নামের আজাব ও নিফাক থেকে মুক্তি পাবে।

এই রেওয়ায়েতের কারণেই সাধারণত মানুষ হজের সময় মসজিদে নববীতে আট দিন অবস্থান করাকে জরুরি মনে করে নিয়েছে। অথচ সনদের বিচারে হাদিসটি দুর্বল। উপরন্তু এই হাদিসের প্রসিদ্ধ মতন (ভাষ্য) যা তিরমিজি শরিফে রয়েছে, যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য চল্লিশ দিন জামাতে তাকবিরে উলার (প্রথম তাকবির) সঙ্গে নামাজ আদায় করে তার জন্য দুটি পরোয়ানা লেখা হয়- জাহান্নাম থেকে মুক্তির পরওয়ানা ও নিফাক থেকে মুক্তির পরওয়ানা। -জামে তিরমিজি : ২৪১

অতএব স্পষ্টত বোঝা যায় যে, এই ফজিলত যে কোনো মসজিদে জামাতে শামিল হওয়া দ্বারা হাসিল হতে পারে।

প্রসঙ্গত বিষয়টি নিয়ে ভুল না বোঝার অনুরোধ করব। হয়তো বলবেন, ফজিলতের ক্ষেত্রে দুর্বল বর্ণনা গ্রহণযোগ্য, তা ঠিক আছে। কিন্তু একই সঙ্গে এটাও সত্য যে, দুর্বল বর্ণনা দ্বারা শরিয়তের কোনো বিধান প্রমাণ হয় না এবং কোনো মেয়াদ বা পরিমাণ নির্ধারিত হয় না। এজন্য সহজভাবে সেখানে আট দিন থাকার সুযোগ হয়ে গেলে ভালো, কিন্তু একে জরুরি মনে করা বা জরুরি বিধানের মতো এত বেশি গুরুত্ব দেওয়া যে, কষ্ট ও পেরেশানিতে পড়ে যেতে হয় কিংবা পরস্পর মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়, এসব ঠিক নয়।

প্রকৃত করণীয় হচ্ছে, হারামাইনে (মক্কা ও মদিনা) যতদিন থাকার সুযোগ হয়; থাকার চেষ্টা করবে যেন মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববীতে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করা হয়। মদিনায় থাকলে নবীর রওজায় বেশি বেশি সালাম পৌঁছানোর চেষ্টা করা, আর মক্কায় থাকলে ওমরা বেশি বেশি করা। সেই সঙ্গে অন্যসব নফল আমল তো রয়েছেই।

http://www.banglanews24.com/fullnews/bn/472591.html
Taslima Akter
Sr. Accounts Officer (F&A)
Daffodil International University
Email: taslima_diu@daffodilvarsity.edu.bd

Offline BRE SALAM SONY

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 827
  • Alhamdulliha Allah Can makes Me A Muslim
    • View Profile
    • Special Discount For hajj and Umrah Guest
প্রিয় taslima ম্যাম আপনার এই প্রশ্নের উত্তর অত্যান্ত সহজ এবং গুরুত্বপূর্ন
 ইসলামে ফজিলত লাভের উদ্দেশ্যে তিন মসজিদে ভ্রমণ করার অনুমোদন আছে। এর মধ্যে প্রথমটি হলো মক্কা মুকাররমা বা কাবা শরিফ (সৌদি আরব)। দ্বিতীয়টি হচ্ছে মসজিদ আল-আকসা বা বায়তুল মুকাদ্দাস: ইসলামের প্রথম কিবলা মসজিদ (ফিলিস্তিন)। তৃতীয়টি হলো মদিনা আল-মুনাউওয়ারার মসজিদে নববী: নবীজিকে যেখানে চির শয়নে শায়িত করা হয়েছে। মদিনা নবীর শহর, একে আরবিতে বলা হয় ‘মদিনাতুন নবী’। আর মদিনার প্রাণকেন্দ্র হলো ‘মসজিদে নববী’। মদিনার ৯৫টি নাম রয়েছে, যেমন দারুস সালাম (শান্তির ঘর)। তা ছাড়া মদিনার ৯৯টি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সা.) মদিনার বরকতের জন্য দোয়া করেছেন, একে হারাম বা সম্মানিত ঘোষণা করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে যে, ঘর থেকে অজু করে মসজিদে কুবায় গিয়ে নামাজ পড়লে একটি উমরাহর সওয়াব পাওয়া যায়। মসজিদে নববীর ভেতরে স্বয়ংক্রিয় ছাদের ব্যবস্থা আছে, যা দিনের বেলা সুইচের মাধ্যমে খুলে দেওয়া হয় আর রাতে বন্ধ করে দেওয়া হয়। মসজিদে নববীতে নারীদের জন্য আলাদা নামাজ পড়ার জায়গা আছে। ভেতরে কিছুদূর পরপর পবিত্র কোরআন মজিদ রাখা আছে, আর পাশে আছে জমজম পানি খাওয়ার ব্যবস্থা। পাশেই ‘জান্নাতুল বাকি’ গোরস্তান। এখানে হজরত ফাতেমা (রা.), বিবি হালিমা (রা.) ও হজরত ওসমান (রা.)সহ অগণিত সাহাবায়ে কিরামের কবর রয়েছে। এর একপাশে নতুন কবর হচ্ছে প্রত্যহ। এখানে শুধু একটি পাথরের খণ্ড দিয়ে চিহ্নিত করা আছে একেকটি কবর। মসজিদে নববীর উত্তর দিকের গেট দিয়ে বেরিয়েই সাহাবাদের মসজিদ। পাশাপাশি দু’টি এবং একটি একটু দূরে একই ডিজাইনে করা তিনটি মসজিদ। এগুলোকে ‘সাহাবা মসজিদ’ বলা হয়।

মসজিদে নববীতে সালাত আদায় ও দোয়া করার উদ্দেশ্যেই মদিনায় গমন এবং সালাত আদায় করে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর রওজা শরিফ জিয়ারত করা ও সালাম পৌঁছানোর ইচ্ছা প্রতিটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানের থাকে। জিয়ারত ও নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে মদিনায় যাওয়া সুন্নত। মসজিদে নববীতে নামাজ পড়ায় ফজিলত বেশি। মসজিদে নববীতে জিয়ারতের জন্য ইহরাম বাঁধতে বা তালবিয়া পড়তে হয় না। তবে মদিনা থেকে যদি মক্কায় আবার আসতে হয়, তাহলে মিকাত বীর আলী পার হলে ইহরাম বেঁধে আসতে হবে।

রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর রওজা মোবারক

উম্মুল মুমিনীন হজরত আয়েশা (রা.)-এর কক্ষেই রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ওফাত হয় এবং সেখানেই তাঁকে দাফন করা হয়। মসজিদ সম্প্রসারণ করার পর বর্তমানে তাঁর কবর মোবারক মসজিদে নববীর অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে। রাসূলে করিম (সা.)-এর রওজা মোবারকের ডানদিকে ইসলামের প্রথম খলিফা হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) ও দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর ফারুক (রা.)-এর কবর। নবী করিম (সা.)-এর রওজা মোবারক সালাম পেশ করার নিয়ম কিবলার দিকে পিঠ করে নবী করিম (সা.)-এর চেহারা মোবারককে সামনে রেখে এমনভাবে দাঁড়াতে হবে, যেন রাসূলুল্লাহ (সা.) আপনার সামনে। এ সময় পৃথিবীর যাবতীয় চিন্তাভাবনা থেকে দিলকে মুক্ত করে একমন, একদিল হয়ে অত্যন্ত আদবের সঙ্গে সালাম পেশ করতে হবে। এ রকম খেয়াল করতে হবে যে, নবী করিম (সা.) কবর মোবারকে কিবলার দিকে মুখ করে আরাম করছেন এবং সালাম-কালাম শ্রবণ করছেন।
http://hajjsangbad.com
আল্লাহর রহমতে প্রতি বছর হজে যাওয়ার সুযোগ হচ্ছে।এভাবেই হাজীদের খেদমত করে যেতে চাই।
01711165606

আমার প্রতিষ্ঠান www.zilhajjgroup.com
www.corporatetourbd.com